BRAKING NEWS

ত্রিপুরায় বিদ্যাজ্যোতি প্রকল্পকে ঘিরে বেসরকারীকরণ নিয়ে গুজব ও অপপ্রচার চালানো হচ্ছে : গেজেটেড অফিসার্স সংঘ

আগরতলা, ১৩ ডিসেম্বর (হি. স.) : ত্রিপুরায় স্কুল বেসরকারীকরণ নিয়ে গুজব এবং অপপ্রচার চালানো হচ্ছে। এই দাবি করে আজ সোমবার গেজেটেড অফিসার্স সংঘ ”বিদ্যাজ্যোতি স্কুল” প্রকল্পকে ঘিরে গুজব এবং অপপ্রচার চালানোর তীব্র ভাষায় প্রতিবাদ জানিয়েছে। সাথে বিভিন্ন রাজ্যের উদাহরণ দিয়ে ওই প্রকল্পের বিস্তারিত ব্যাখ্যা তুলে ধরেছে।


সংঘের সাধারণ সম্পাদক দেবাশীষ রায়ের বক্তব্য, দেশের বিভিন্ন রাজ্যে অনেক সরকারী স্কুল সিবিএসই অনুমোদন পেয়েছে। বিভিন্ন রাজ্যের বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরে তিনি জানিয়েছেন, হরিয়ানায় ১২৫টি, ওড়িশাতে ২০০টি, অন্ধ্রপ্রদেশে ১০৯২টি এবং সিকিম ও অরুনাচল প্রদেশে সমস্ত সরকারী স্কুল সিবিএসই অনুমোদন পেয়েছে। এছাড়া, ছত্তিসগড় এবং মহারাষ্ট্রেও বহু সরকারী স্কুল সিবিএসই অনুমোদিত স্কুলে পরিবর্তীত হয়েছে।


তাঁর দাবি, ত্রিপুরা সরকার মন্ত্রিসভার অনুমোদন ক্রমে ১০০টি সরকারী বিদ্যালয়কে সিবিএসই-তে উন্নীত করেছে। কারণ, গুনগত শিক্ষা প্রদানের লক্ষ্যেই ওই পদক্ষেপ নিয়েছে ত্রিপুরা সরকার। তাঁর আরো দাবি, ত্রিপুরায় ৯৫ শতাংশ মানুষ চাইছেন প্রত্যেক ব্লক কিনবা মহকুমাতে ন্যুনতম ১টি বিদ্যালয় সিবিএসই অনুমোদিত স্কুলে পরিবর্তীত হোক।


তিনি জানিয়েছেন, প্রথমে ২০টি বিদ্যালয়কে সিবিএসই স্কুলে উন্নীত করা হয়েছিল। তাতে, অভিভাবকদের মধ্যে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে এবং ওই স্কুলগুলিকে ভর্তির জন্য প্রচন্ড ভীড় লক্ষ্য করা গেছে। তাই, ত্রিপুরার শিক্ষানুরাগী জনগণের দাবিকে মান্যতা দিতে গিয়ে রাজ্য সরকার ১০০টি বিদ্যালয়কে সিবিএসই অনুমোদনক্রমে বিদ্যাজ্যোতি স্কুল প্রকল্প তথা মিশন ১০০ ঘোষণা করেছে।


ওই প্রকল্পের নানাহ বৈশিষ্ট তুলে ধরে তিনি দাবি করেন, পরিকাঠামো উন্নয়নে ত্রিপুরা সরকার শিক্ষক, স্টাফ নার্স এবং বিভিন্ন স্তরের শিক্ষাকর্মী সহ মোট ১৪০০ জন নিয়োগ করবে। সিবিএসই-র নিয়মানুসারে প্রতিটি বিদ্যালয়ে শিক্ষক এবং ছাত্রছাত্রীর আনুপাতিক হার বজায় রাখা হবে। প্রতিটি বিদ্যালয়ে প্রায় ১২০০ ছাত্রছাত্রী পড়াশুনা করতে পারবে। সাথে তিনি জানিয়েছেন, মিড-ডে-মিলের ব্যবস্থা এবং শিক্ষক ও অন্যান্য কর্মীদের উপস্থিতির হার নির্ণয়ে প্রতিটি বিদ্যালয়ে বায়ো মেট্রিক পদ্ধতি চালু হবে।


তাঁর কথায়, বিদ্যাজ্যোতি প্রকল্পে স্কুলগুলির তিনটি স্তরে পরিচালনা পর্ষদ রয়েছে। রাজ্য স্তরে মুখ্য সচিব, জেলা স্তরে জেলা শাসক চেয়ারম্যান পদে থাকবেন। এছাড়া, শিক্ষার অধিকার আইন-২০০৯ অনুসরণ করে অন্যান্য সরকারী বিদ্যালয়ের ন্যায় বিদ্যালয় পরিচালন কমিটি রয়েছে, তার চেয়ারম্যান হিসেবে আছেন সংশ্লিষ্ট জেলার মহকুমা শাসক।


এদিন তিনি দাবি করেন, বিদ্যাজ্যোতি প্রকল্প নিয়ে সরকারী বিজ্ঞপ্তিতে বেসরকারীকরণ উল্লেখ নেই। তাতে স্পষ্ট, ত্রিপুরায় একটা অংশ চাইছে ওই প্রকল্পকে বেসরকারীকরণ আখ্যায়িত করে গুজব এবং অপপ্রচার চালিয়েছে, তারা রাজ্যের ক্ষতি করার উদ্দেশ্য নিয়েছে। তাদের উদ্দেশ্যের তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছে সংঘ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *