কলকাতা, ৮ ডিসেম্বর (হি. স.) : যেদিন বাংলার যে মনীষীর জন্ম বা মৃত্যুদিবস, প্রচারে তাঁকেও শ্রদ্ধা জানাচ্ছেন মৌমিতা। সেই মনীষীর ছবি গলায় ঝুলিয়ে। ৬৮ নম্বর ওয়ার্ডে লড়াইয়ে কংগ্রেস প্রার্থী মৌমিতা মুখোপাধ্যায় (৩৮)। মৌমিতা বলছেন, “এভাবেই বাংলার মনীষীদের শ্রদ্ধা জানাচ্ছি। এটাই আমাদের প্রচারের অভিনবত্ব।”
পরনে সাদা খোলের শাড়ি। ফ্যাকাসে সাদা। কাঁধজোড়া কংগ্রেসের প্রতীক আঁকা ফিনফিনে উত্তরীয়। জোড়হাত। স্মিত হাসি। প্রচারে আলাপ করিয়ে দিলে সামান্য মাথা তুলে হাতজোড়া আরও এঁটে প্রণাম করছেন। ৬৮ নম্বরে তৃণমূল প্রার্থী সুদর্শনা মুখোপাধ্যায়, তনিমা চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গেই লড়াইয়ে কংগ্রেস প্রার্থী মৌমিতা মুখোপাধ্যায় (৩৮)। প্রচারে সঙ্গী বলতে জনা সাতেক দলীয় কর্মী। কিন্তু তাতেও চমক রেখেছেন মৌমিতা। এহেন মৌমিতার ব্যক্তিগত জীবনেও লড়াই আছে। এই দশকের শুরুর দিকে মাধ্যমিক পাস করেছেন। তার পর সংসারের দায়িত্ব নিয়ে পারিবারিক ব্যবসায় ঢোকায় আর পড়াশোনা এগোয়নি। তবে ভরতনাট্টম আর ক্লাসিক্যাল চালিয়ে যাচ্ছেন ছোট থেকেই। সেই সূত্রে একাধিক মঞ্চে পরিচিতি। সেখান থেকে একেবারে ভোটের রাজনীতি।
মৌমিতা বলছেন, “পরিবারের কেউই রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন না। কৃষি আন্দোলন থেকে একাধিক সামাজিক কাজ করেছি। তার পরই এবারের ভোটে প্রার্থী হওয়ার প্রস্তাব আসে। রাজি হই।” আপাতত এই ভোটে লড়ার সঙ্গে সঙ্গেই ডিসট্যান্সে দ্বাদশ শ্রেণির পড়াশোনা শুরু করেছেন। ভোটের পর পড়াশোনা অবশ্যই চালিয়ে যেতে চান। তার সঙ্গে চলবে ভরতনাট্টম আর সংসার চালানোর দায়িত্বও।