নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ২৬ জুলাই।। চাকমা সমাজের চারটি অর্গানাইজেশনের উদ্যোগে সোমবার সাংবাদিক সম্মেলন করে তিপরাসা কাউন্সিল অফ হদা এবং রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকারের বক্তব্য পেশ করা হয়েছে। এ ধরনের বক্তব্য সম্প্রীতি বিনষ্টকারী বলে তারা অভিহিত করেছেন। গত ৪ঠা জুলাই তিপরাসা কাউন্সিল অফ হদা নামে একটি সংগঠন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত সাহার কাছে এক স্মারক লিপিতে চাকমা সম্প্রদায়কে উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে হেয় প্রতিপন্ন করার চেষ্টা করা হয়েছে বলে গুরুতর অভিযোগ করা হয়েছে চাকমা সমাজের চারটি অর্গানাইজেশনের তরফ থেকে।
সোমবার আগরতলা প্রেসক্লাবে আয়োজিত সাংবাদিক সম্মেলনে সংগঠনগুলোর পক্ষ থেকে জানানো হয় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীর কাছে প্রেরিত স্মারকলিপিতে বলা হয়েছে পার্বত্য চট্টগ্রাম থেকে রিয়াং জনগোষ্ঠীর লোকজন রাজ্যে অনুপ্রবেশ করছে। শুধু তাই নয় চোরাচালান সহ অবৈধ কার্যকলাপ চাকমা জনগোষ্ঠীর লোকজন রয়েছে বলেও তারা উল্লেখ করেছে। এই স্মারকলিপির সূত্র ধরেই রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা বিরোধী দলনেতা মানিক সরকার রাজ্যের বর্তমান মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠিতে এ বিষয়ে যে মন্তব্য করেছেন তার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে চাকমা জনগোষ্ঠী যৌথ সংগঠন। রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর এ ধরনের মন্তব্যের জন্য চাকমা জনগোষ্ঠীর কাছে ক্ষমা চাওয়ার জন্য সাংবাদিক সম্মেলনে দাবি করা হয়েছে।
তিপরাসা কাউন্সিল অফ হদা কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে যে স্মারকলিপি পাঠিয়েছে এবং রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকার যে মন্তব্য করেছেন তার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে চাকমা জনগোষ্ঠীর চারটি যৌথ সংগঠন সাংবাদিক সম্মেলন করে বলেছে এ ধরনের বক্তব্য সাম্প্রদায়িক, সংবিধান বিরোধী এবং জাতি উপজাতি সম্প্রীতি বিনষ্টকারী। এ ধরনের বক্তব্যকে দুর্ভাগ্যজনক এবং দুরভিসন্ধি বলেও তারা আখ্যায়িত করেছেন। জাতি ও উপজাতির মধ্যে শান্তি সম্প্রীতি বিনষ্ট করার ক্ষেত্রে এ ধরনের মন্তব্য খুবই বিপদজনক বলেও তারা মনে করেন। এসব বিষয়ে রাজ্য সরকারকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করার জন্য সংগঠনের পক্ষ থেকে অনুরোধ জানানো হয়েছে। সংগঠনের নেতৃবৃন্দ দাবি করেছেন চাকমা জনগোষ্ঠী বরাবরই শান্তিপ্রিয়।
অবিলম্বে রাজ্যের শান্তি সম্প্রীতি অক্ষুন্ন রাখার তাগিদে এবং চাকমা জনগোষ্ঠীর নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করার তাগিদে রাজ্য সরকার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ না করলে তারা বৃহত্তর আন্দোলনে শামিল হতে বাধ্য হবেন বলেও ইঙ্গিত দিয়েছেন।

