নয়াদিল্লি, ৩০ ডিসেম্বর: এঞ্জেল চাকমার ন্যায়বিচারের দাবিতে আগামী ৩১ ডিসেম্বর যন্তর মন্তরে প্রস্তাবিত প্রতিবাদ ও ধর্ণা কর্মসূচির অনুমতি দিতে অস্বীকার করেছে দিল্লি পুলিশ। প্রক্রিয়াগত ত্রুটি ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির কথা উল্লেখ করে এই অনুমতি বাতিল করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ প্রশাসন।
নয়াদিল্লি জেলার ডেপুটি কমিশনার অব পুলিশের দপ্তর থেকে জারি করা এক সরকারি চিঠিতে জানানো হয়, ছাত্র প্রতিনিধিদের তরফে জমা দেওয়া আবেদনটি স্বল্প নোটিশে পাঠানো হয়েছে এবং বিদ্যমান নির্দেশিকার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। আবেদনকারীদের মধ্যে ছিলেন দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের নর্থ-ইস্ট স্টুডেন্টস সোসাইটির সভাপতি বিপুল চাকমা এবং ডিইএসইউ-র সভাপতি পয়েন্টিং থকচোম।
চিঠিতে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, যেকোনো প্রতিবাদ কর্মসূচির জন্য অন্তত ১০ দিন আগে আবেদন জমা দেওয়া বাধ্যতামূলক। পাশাপাশি দিল্লির বর্তমান আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি এবং এস.ও. নং এলএন্ডও/৪৮/২০২২-এর অধীনে প্রণীত নির্দেশিকা মেনে চলার কথা বলা হয়েছে, যা ভারতের সুপ্রিম কোর্টের ২৩ জুলাই ২০১৮ সালের নির্দেশের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ।
উল্লেখ্য, হিংস্র হামলার পর এঞ্জেল চাকমার মৃত্যুকে কেন্দ্র করে দেশজুড়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। বিভিন্ন রাজ্যে মোমবাতি মিছিলসহ একাধিক প্রতিবাদ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়েছে। দিল্লি পুলিশের এই সিদ্ধান্তে ছাত্র সংগঠনগুলি হতাশা প্রকাশ করে জানিয়েছে, শান্তিপূর্ণ গণতান্ত্রিক প্রতিবাদ মৌলিক অধিকার এবং বিষয়টির গুরুত্ব ও জরুরিতার কারণে তাৎক্ষণিক কর্মসূচি প্রয়োজন ছিল।
তবে অনুমতি না মিললেও আন্দোলনকারীরা প্রশাসনের সঙ্গে সহযোগিতার বার্তা দিয়েছেন এবং আইনসম্মত বিকল্প পথে শান্তিপূর্ণভাবে ন্যায়বিচারের দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার কথা ভাবছেন বলে জানানো হয়েছে। এই ঘটনাকে ঘিরে প্রতিবাদস্থল ব্যবহারের অধিকার এবং বিশেষ করে উত্তর-পূর্ব ভারতের ছাত্র সংগঠনগুলির সময়োপযোগী আন্দোলন সংগঠনের ক্ষেত্রে যে চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হয়, তা নিয়ে নতুন করে বিতর্ক শুরু হয়েছে।

