মুঙ্গিয়াকামি, ১৪ ডিসেম্বর:
রাজনীতি কেবল মঞ্চে বক্তৃতা নয়, সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে তাঁদের দুঃখ-দুর্দশা লাঘব করাই প্রকৃত রাজনীতির মর্মার্থ—এমনই বার্তা দিলেন জনজাতি কল্যাণ দপ্তরের মন্ত্রী বিকাশ দেববর্মা। রবিবার বিকেলে মুঙ্গিয়াকামি ব্লকের অন্তর্গত উত্তর মহারানী বাজারে কোনও পূর্বঘোষিত কর্মসূচি ছাড়াই উপস্থিত হন তিনি।
বাজার চত্বরে পৌঁছে মন্ত্রী ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী ও সাধারণ নাগরিকদের সঙ্গে কথা বলেন। এলাকার দৈনন্দিন সমস্যা থেকে শুরু করে পারিবারিক সংকট—সবই মনোযোগ দিয়ে শোনেন তিনি। স্থানীয় বাসিন্দাদের বক্তব্য, প্রশাসনের কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে পৌঁছনোর আগেই সমস্যার কথা সরাসরি জানাতে পারায় স্বস্তি পেয়েছেন তাঁরা।
মন্ত্রী বিকাশ দেববর্মা তাঁর বক্তব্যে তৃণমূল স্তরে পৌঁছনোর গুরুত্ব তুলে ধরেন। তিনি বলেন, মানুষের কষ্ট ও চাহিদা কাগজে-কলমে পুরোপুরি ধরা পড়ে না; তা বুঝতে হলে মাঠে নামতেই হয়। প্রধানমন্ত্রী ও মুখ্যমন্ত্রীর নেতৃত্বে বর্তমান সরকারের লক্ষ্য—কোনও যোগ্য নাগরিক যেন সরকারি সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত না হন—এই দর্শনেই মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছনোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।
রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, এই ধরনের আকস্মিক মাঠ-পরিদর্শন একদিকে প্রশাসনের বাস্তব চিত্র তুলে ধরে, অন্যদিকে কেবল সোশ্যাল মিডিয়ায় সহানুভূতির ভাষণ আর বাস্তবের কাজের মধ্যে পার্থক্যও স্পষ্ট করে। আবেগঘন মন্তব্যে মন জয় সহজ হলেও, তৃণমূল স্তরে দাঁড়িয়ে মানুষের সঙ্গে চোখে চোখ রেখে কথা বলাই যে বিশ্বাসের ভিত মজবুত করে—উত্তর মহারানীর বিকেলের চিত্র তারই প্রমাণ।
সব মিলিয়ে, উত্তর মহারানী বাজারে মন্ত্রী বিকাশ দেববর্মার এই অনাড়ম্বর উপস্থিতি রাজনৈতিক কর্মসূচির গণ্ডি ছাড়িয়ে প্রশাসনের মানবিক মুখকেই সামনে আনল, যেখানে রাজনীতির কেন্দ্রবিন্দুতে মানুষই।

