“বন্দে মাতরম্‌ দেশের দেশপ্রেম, ত্যাগ ও জাতীয় চেতনার প্রতীক”—রাজ্যসভায় বললেন অমিত শাহ

নয়াদিল্লি, ৯ ডিসেম্বর: জাতীয় গান বন্দে মাতরম্‌ দেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে দেশপ্রেম, ত্যাগ ও জাতীয় চেতনার প্রতীক হয়ে উঠেছিল বলে মন্তব্য করেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। আজ রাজ্যসভায় বন্দে মাতরম্‌-এর ১৫০তম বর্ষপূর্তি উপলক্ষে আলোচনার সূচনা করতে গিয়ে তিনি এই বক্তব্য দেন।

অমিত শাহ বলেন, এই অমর রচনা মাতৃভূমির প্রতি কর্তব্যবোধ ও ভক্তির অনুভূতি জাগিয়ে তোলে। স্বাধীনতা আন্দোলনের সময় যেমন বন্দে মাতরম্‌ ছিল অপরিহার্য, তেমনই আজও এর প্রাসঙ্গিকতা অটুট—এবং ২০৪৭ সালে দেশ যখন বিকসিত ভারত হতে চলেছে, তখনও এর গুরুত্ব সমান প্রাসঙ্গিক বলে তিনি উল্লেখ করেন।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, স্বাধীনতা সংগ্রামীরা প্রতিটি সভার শুরুতে বন্দে মাতরম্‌ গাইতেন। আজও দেশের সীমানায় যখন সাহসী জওয়ানরা সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকার করেন, তাঁদের মুখেও বন্দে মাতরম্‌ উচ্চারণ ধ্বনিত হয়।

তিনি বলেন, বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় বন্দে মাতরম্‌-এর মাধ্যমে দেশের মাটি ও মাতৃভূমিকে পূজার পরম্পরা এবং সাংস্কৃতিক জাতীয়তাবাদকে দৃঢ়ভাবে প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। নানা নিষেধাজ্ঞা, দমন-পীড়ন ও সংগ্রামের মধ্যেও গানটি দেশের মানুষের হৃদয়ে স্থান করে নিয়েছে এবং কাশ্মীর থেকে কন্যাকুমারী পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়েছে।

অমিত শাহ আরও বলেন, শতাব্দীব্যাপী ইসলামী আক্রমণের ফলে ক্ষতিগ্রস্ত সাংস্কৃতিক মেরুদণ্ডকে পুনরুজ্জীবিত করার প্রেক্ষাপটে এবং ব্রিটিশদের আরোপিত নতুন সভ্যতা-সংস্কৃতির মোকাবিলায় বন্দে মাতরম্‌ প্রতিরোধের প্রতীক হয়ে ওঠে।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আশা প্রকাশ করেন যে সংসদের দুই কক্ষে বন্দে মাতরম্‌ নিয়ে আলোচনা দেশের ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে এর প্রকৃত গুরুত্ব ও গৌরব অনুধাবনে সহায়তা করবে।

Leave a Reply