নিজস্ব প্রতিনিধি, কৈলাসহর, ২৩ নভেম্বর: ভারত–বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক সীমান্ত সংলগ্ন বৌলাপাশা এলাকায় গভীর রাতে বাংলাদেশের চোরদলের হানায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। শনিবার রাতের এই ঘটনায় সীমান্ত রক্ষী বাহিনী ও কৈলাসহর থানার পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছে এলাকাবাসী।
কৈলাসহর থানার মাত্র প্রায় ২০০ মিটার দূরে অবস্থিত বৌলাপাশা এলাকা। আন্তর্জাতিক সীমান্তের কাটাতারের ঠিক পাশেই গ্রামটি হওয়ায় দীর্ঘদিন ধরেই এখানে চোরাচালান ও চুরির ঘটনা ঘটছে বলে অভিযোগ।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শনিবার গভীর রাতে বাংলাদেশের চোরেরা সীমান্তের কাটাতার কেটে বৌলাপাশা এলাকায় ঢুকে পড়ে। তারা প্রথমে কয়েকটি বাড়িতে গরু ও ছাগল চুরি করার চেষ্টা করে। বাড়ির মালিকরা শব্দ পেয়ে বাইরে বেরিয়ে এলে চোরেরা পালিয়ে নিকটবর্তী একটি মুদির দোকানে ঢোকে। সেখানে চুরির চেষ্টাও ব্যর্থ হয়, কারণ এলাকাবাসীরা সঙ্গে সঙ্গে চিৎকার-চেচামেচি শুরু করলে চোরেরা দ্রুত সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশ অংশে ফিরে যায়।
এলাকাবাসীদের অভিযোগ, পালিয়ে যাওয়ার সময় চোরেরা বাংলাদেশ অংশে দাঁড়িয়ে বৌলাপাশা গ্রামের মানুষদের উদ্দেশে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। তারা আরও জানিয়েছে, চোরেদের হাতে ধারালো দা-সহ বিভিন্ন অস্ত্র ছিল।
চিৎকার শুনে বিএসএফ জওয়ানরা ঘটনাস্থলে পৌঁছালেও তখন পর্যন্ত চোরেরা সীমান্তের ওপারে সরে গেছে। এলাকাবাসীদের দাবি, প্রতি বছর একই সময়ে বাংলাদেশের চোরদল কাটাতার কেটে এভাবে ঢুকে চুরি করে থাকে। তবে এবার প্রথম দিনেই তাদের চেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে।
রবিবার বিকেলে ঘটনাটি সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়তেই গোটা বৌলাপাশা এলাকায় পুলিশের ভূমিকা নিয়ে ব্যাপক ক্ষোভ দেখা যায়। বহুদিন ধরেই সীমান্তের নিরাপত্তা ব্যবস্থা দুর্বল হয়ে পড়েছে বলে অভিযোগ তুলছেন স্থানীয়রা।
এলাকাবাসীর দাবি, চোরেদের দৌরাত্ম্য রোধে অবিলম্বে সীমান্তে নজরদারি বাড়াতে হবে এবং পুলিশ-বিএসএফের টহল জোরদার করতে হবে। নচেৎ যে কোনো সময় ঘটতে পারে বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতি।

