নয়াদিল্লি, ১২ নভেম্বর : লালকেল্লা সংলগ্ন এলাকায় গাড়ি বিস্ফোরণকে “সন্ত্রাসবাদী হামলা” হিসেবে ঘোষণা করেছে কেন্দ্র সরকার। বুধবার ১২ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বাধীন কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে শোকপ্রকাশ করেছে এবং দোষীদের দ্রুত আইনের আওতায় আনার নির্দেশ দিয়েছে।
মন্ত্রিসভার বৈঠকের পর কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব জানান, মন্ত্রিসভা নিহত নিরপরাধদের স্মরণে দুই মিনিট নীরবতা পালন করেছে। তিনি বলেন, দেশ এক নৃশংস সন্ত্রাসী ঘটনার সাক্ষী হয়েছে, যা রাষ্ট্রবিরোধী শক্তির দ্বারা সংঘটিত। বিস্ফোরণে একাধিক প্রাণহানি ঘটেছে এবং বহু মানুষ আহত হয়েছেন।
মন্ত্রিসভার প্রস্তাবে বলা হয়েছে, এই মর্মান্তিক সহিংস ঘটনার শিকারদের প্রতি মন্ত্রিসভা গভীর শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করছে এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারগুলির প্রতি সমবেদনা জানাচ্ছে। আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করছে এবং চিকিৎসক ও জরুরি সেবাকর্মীদের দ্রুত পদক্ষেপের প্রশংসা করছে।
অশ্বিনী বৈষ্ণব আরও বলেন, মন্ত্রিসভা এই “নৃশংস ও কাপুরুষোচিত কাজ”-এর তীব্র নিন্দা করেছে এবং সন্ত্রাসবাদের প্রতি ভারতের ‘জিরো টলারেন্স’ নীতির প্রতি সরকারের দৃঢ় অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেছে। তিনি আরও জানান, বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সরকার এই ঘটনায় ভারতের প্রতি সংহতি ও সমর্থন জানিয়েছে, যা মন্ত্রিসভা কৃতজ্ঞতার সঙ্গে গ্রহণ করেছে।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এদিন লালকেল্লা বিস্ফোরণে আহতদের দেখতে এলএনজেপি হাসপাতালে যান এবং জানান, দোষীদের কোনোভাবেই ছাড়া হবে না, তারা ন্যায়বিচারের সম্মুখীন হবে।
এর আগে, ১০ নভেম্বরের বিস্ফোরণের সঙ্গে যুক্ত সন্দেহে একটি লাল গাড়ি (নম্বর ডিএল১০সিকে০৪৫৮) ১২ নভেম্বর ফরিদাবাদ পুলিশ উদ্ধার করে। তদন্তে জানা যায়, গ্রেফতারকৃত ডা. মুজাম্মিল গণাই এবং ডা. উমর নবি জানুয়ারিতে লালকেল্লা পরিদর্শনে গিয়েছিলেন। সন্দেহ করা হচ্ছে, বিস্ফোরণের সময় গাড়িটিতে একমাত্র যাত্রী ছিলেন ডা. উমর নবি।
মন্ত্রিসভার প্রস্তাবে আরও বলা হয়েছে, সরকার সর্বোচ্চ পেশাদারিত্ব ও জরুরিতার সঙ্গে তদন্ত চালানোর নির্দেশ দিয়েছে, যাতে অভিযুক্ত ও তাদের সহযোগী এবং পৃষ্ঠপোষকদের দ্রুত সনাক্ত করে ন্যায়বিচারের আওতায় আনা যায়।
অশ্বিনী বৈষ্ণব জানান, সরকার পরিস্থিতির উপর নিবিড় নজর রাখছে। দেশের প্রতিটি নাগরিকের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এবং জাতীয় সুরক্ষার প্রতি সরকারের প্রতিশ্রুতি অবিচল থাকবে।

