আগরতলা, ১৩ নভেম্বর : রাজ্যজুড়ে রাস্তাঘাটের উন্নয়ন ও যানবাহনের সংখ্যা বৃদ্ধির পরিপ্রেক্ষিতে ত্রিপুরা সরকার নতুন করে মোটরযানগুলির সর্বোচ্চ গতিসীমা নির্ধারণ করল। রাজ্য পরিবহন দপ্তরের পক্ষ থেকে জারি হওয়া বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, জননিরাপত্তা ও সড়ক নিরাপত্তা নিশ্চিত করার স্বার্থে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে, রাজ্যে এখন ছয়টি জাতীয় সড়ক চালু রয়েছে এবং গ্রামীণ ও জেলা সড়ক নেটওয়ার্কও সম্প্রসারিত হয়েছে। এই প্রেক্ষাপটে বেপরোয়া গাড়ি চালানো, অতিরিক্ত গতি এবং সড়ক পরিস্থিতির অমান্যতা রোধ করতে নতুন গতিসীমা কার্যকর করা হচ্ছে।
নতুন গতিসীমা অনুযায়ী, চার লেন ও বিভক্ত জাতীয় সড়ক: হালকা মোটরযান: সমতল এলাকায় ১০০ কিমি/ঘন্টা, পাহাড়ি এলাকায় ৮০ কিমি/ঘন্টা, মাঝারি ও ভারী যানের ক্ষেত্রে, সমতল এলাকায় ৭০ কিমি/ঘন্টা, পাহাড়ি এলাকায় ৬০ কিমি/ঘন্টা। দুই লেন জাতীয় ও রাজ্য সড়ক: হালকা মোটরযান: ৬০ কিমি/ঘন্টা (সমতল), ৪৫ কিমি/ঘন্টা (পাহাড়ি), মাঝারি ও ভারী যান: ৫০ কিমি/ঘন্টা (সমতল), ৩৫ কিমি/ঘন্টা (পাহাড়ি)। প্রধান জেলা সড়ক: হালকা মোটরযান: ৫০ কিমি/ঘন্টা (সমতল), ৪০ কিমি/ঘন্টা (পাহাড়ি)। মাঝারি ও ভারী যান: ৪০ কিমি/ঘন্টা (সমতল), ৩০ কিমি/ঘন্টা (পাহাড়ি)।
পৌর ও শহরাঞ্চল সড়ক:
হালকা মোটরযান: ৩৫ কিমি/ঘন্টা (সমতল), ২৫ কিমি/ঘন্টা (পাহাড়ি), মাঝারি ও ভারী যান: ২৫ কিমি/ঘন্টা (সমতল), ২০ কিমি/ঘন্টা (পাহাড়ি)।
পঞ্চায়েত ও গ্রামীণ সড়ক:
সকল যানবাহন: ৩৫ কিমি/ঘন্টা (সমতল), ২৫ কিমি/ঘন্টা (পাহাড়ি)। সংবেদনশীল এলাকা (স্কুল, হাসপাতাল, বাজার ইত্যাদি): সকল যানবাহন: ২৫ কিমি/ঘন্টা (সমতল), ২০ কিমি/ঘন্টা (পাহাড়ি)।
এই নতুন গতিসীমা কার্যকর হলে সড়ক দুর্ঘটনা হ্রাস পাবে এবং জননিরাপত্তা নিশ্চিত করা যাবে বলে আশা ব্যক্ত করা হয়েছে।

