প্রধানমন্ত্রী মোদির ছত্তীসগড় সফর: শ্রী সত্য সাই সঞ্জীবনী হাসপাতালে হৃদরোগে আক্রান্ত শিশুদের সাথে সাক্ষাৎ এবং ব্রহ্মকুমারীর ‘শান্তি শিখর’ উদ্বোধন

রায়পুর, ১ নভেম্বর : প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি আজ শনিবার ছত্তীসগড় সফরে নওয়া রায়পুর, আতল নগরের শ্রী সত্য সাই সঞ্জীবনী হাসপাতালের অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেছেন। এই অনুষ্ঠানে তিনি ‘দিল কি বাত’ কর্মসূচির আওতায় হৃদরোগে আক্রান্ত এবং সফলভাবে চিকিৎসা প্রাপ্ত শিশুদের সাথে সাক্ষাৎ করেন।

অনুষ্ঠানে পৌঁছানোর পর প্রধানমন্ত্রী মোদি শ্রী সত্য সাই বাবা’র প্রতিমায় ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এরপর তিনি হৃদরোগ থেকে সেরে ওঠা শিশুদের সনদ প্রদান করেন এবং ‘দিল কি বাত’ কর্মসূচির আওতায় তাদের সাথে আড্ডা দেন। এখন পর্যন্ত এই হাসপাতালে ২৫০০ শিশুর সফল চিকিৎসা সম্পন্ন হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী মোদি শিশুদের সাথে কথা বলে বেশ আনন্দিত ছিলেন এবং তাদের প্রতি বিশেষ স্নেহ প্রদর্শন করেন।

অনুষ্ঠান শেষে, প্রধানমন্ত্রী মোদি নওয়া রায়পুরে ব্রহ্মকুমারী সংস্থার ‘শান্তি শিখর’ কেন্দ্রের উদ্বোধন করেন, যা আধ্যাত্মিক শিক্ষা, শান্তি ও ধ্যানের আধুনিক কেন্দ্র হিসেবে গড়ে উঠেছে। এ সময় তিনি বলেন, “আজকের দিনটি খুবই বিশেষ। আজ ছত্তীসগড় তার প্রতিষ্ঠার ২৫ বছর পূর্ণ করছে। ছত্তীসগড়ের পাশাপাশি ঝারখণ্ড ও উত্তরাখণ্ডও তাদের প্রতিষ্ঠার ২৫ বছর পূর্ণ করেছে। আজ দেশের আরও অনেক রাজ্য তাদের প্রতিষ্ঠা দিবস উদযাপন করছে। আমি এই সব রাজ্যের নাগরিকদের প্রতিষ্ঠা দিবসের অনেক শুভেচ্ছা জানাই।”

প্রধানমন্ত্রী তার ভাষণে আরও বলেন, “রাজ্যের উন্নয়ন মানে দেশের উন্নয়ন, এই তত্ত্বের ভিত্তিতে আমরা ভারতকে একটি উন্নত দেশ হিসেবে গড়ে তোলার প্রচেষ্টায় কাজ করছি। উন্নত ভারতের এই যাত্রায় ব্রহ্মকুমারী সংস্থার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। আমি বহু দশক ধরে এই আধ্যাত্মিক আন্দোলনের সাথে যুক্ত আছি এবং এর প্রসার আমি নিজে দেখেছি।”

তিনি বলেন, “২০১১ সালে আহমেদাবাদে ‘ফিউচার অফ পাওয়ার’ কর্মসূচি, ২০১২ সালে সংস্থার ৭৫ বছর পূর্তি, ২০১৩ সালে প্ররাগরাজের অনুষ্ঠান, আবু কিংবা গুজরাটের নানা কর্মসূচিতে আমি অংশ নিয়েছি। এ সব এখন আমার রুটিন হয়ে গেছে।” প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, “চাহে তা ‘আজাদি কা অমৃত মহোৎসব’ হোক কিংবা ‘স্বচ্ছ ভারত অভিযান’, প্রতিটি ক্ষেত্রে আমি এখানে মানুষের প্রচেষ্টাকে গভীর শ্রদ্ধার সাথে দেখেছি।”