কেরলে ঘূর্ণাবর্তের প্রভাবে প্রবল বৃষ্টিপাত, সতর্কতা জারি একাধিক জেলায়

কেরল, ১২ অক্টোবর : আরব সাগরের ওপর সৃষ্ট একটি ঘূর্ণাবর্তের কারণে দক্ষিণ ভারতের বেশ কয়েকটি রাজ্যে প্রবল বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। ভারতের মৌসম বিভাগ জানিয়েছে, এই ঘূর্ণাবর্তের প্রভাবে কেরল ও মাহে অঞ্চলে ১১ থেকে ১৫ অক্টোবরের মধ্যে হালকা থেকে ভারী বৃষ্টিপাত, বজ্রবিদ্যুৎ সহ ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। বাতাসের গতি ঘন্টায় ৩০-৪০ কিমি পর্যন্ত পৌঁছাতে পারে বলে জানানো হয়েছে।

রবিবার, ১২ অক্টোবর, কেরলের পাথানামথিট্টা, ইদুক্কি, পালক্কাড, মালাপ্পুরম ও ওয়ানাড় জেলায় ইয়েলো অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে। এখানে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ৬৪.৫ মিমি থেকে ১১৫.৫ মিমি পর্যন্ত বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। একইভাবে, আগামী ১২ থেকে ১৭ অক্টোবর পর্যন্ত কেরলের একাধিক জেলায় প্রতিদিন এক-দুটি স্থানে ৭ থেকে ১১ সেন্টিমিটার পর্যন্ত ভারী বৃষ্টি হতে পারে বলে জানিয়েছে মৌসম বিভাগ।

এছাড়াও, ১১ ও ১২ অক্টোবর লক্ষদ্বীপেও বজ্রপাত ও ঝোড়ো হাওয়ার সঙ্গে ভারী বৃষ্টিপাতের আশঙ্কা রয়েছে। ঝোড়ো হাওয়া ও সাগরে উত্তাল অবস্থা বিবেচনায় রেখে কেরল ও কর্ণাটক উপকূলবর্তী অঞ্চল, লক্ষদ্বীপ ও কান্যকুমারীর সংলগ্ন এলাকায় মাছ ধরার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। এইসব অঞ্চলে বাতাসের গতিবেগ ৪০ থেকে ৫৫ কিমি প্রতি ঘণ্টা পর্যন্ত পৌঁছাতে পারে।

ইতিমধ্যে মৌসম বিভাগ কেরলের একাধিক জেলায় ইয়েলো অ্যালার্ট জারি করেছে। ১২ অক্টোবর: পাথানামথিট্টা, ইদুক্কি, পালক্কাড, মালাপ্পুরম, ওয়ানাড়; ১৩ অক্টোবর: পাথানামথিট্টা, কোট্টায়ম, ইদুক্কি, ওয়ানাড়; ১৪ অক্টোবর: পাথানামথিট্টা, কোট্টায়ম এবং ১৫ অক্টোবর: এর্নাকুলাম ও ইদুক্কি জেলায় সতর্কতা জারি রয়েছে।

অধিকর্তারা সতর্ক করেছেন, পাহাড়ি এলাকাগুলিতে ভূমিধস ও হঠাৎ বন্যার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। প্রবল বৃষ্টির কারণে কিছু অঞ্চলে রাস্তা বন্ধ হয়ে যাওয়া, গাছ পড়ে যাতায়াত ব্যাহত হওয়া, বিদ্যুৎ বিভ্রাট এবং নিচু এলাকায় জলজটের পরিস্থিতি সৃষ্টি হতে পারে। পাশাপাশি দুর্বল গঠনবিশিষ্ট ঘরবাড়ির ক্ষয়ক্ষতি এবং মাঠে থাকা পরিপক্ক ফসলেরও ব্যাপক ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। মৌসম বিভাগ সাধারণ মানুষকে বজ্রপাতের সময় বাড়ির ভিতরে থাকার, খোলা মাঠ এড়িয়ে চলার এবং নিচু ও ধসপ্রবণ এলাকায় অতিরিক্ত সতর্কতা অবলম্বনের পরামর্শ দিয়েছে।

উল্লেখ্য, চলতি মাসের শেষের দিকে কেরলে উত্তর-পূর্ব মৌসুমী বায়ু প্রবেশ করার সম্ভাবনা রয়েছে, যা রাজ্যে বৃষ্টির পরিমাণ আরও বাড়াতে পারে।