অবৈধ সম্পর্ক স্ত্রীর, মিথ্যা মামলার অভিযোগ স্বামীর বিরুদ্ধে, সুষ্ঠু তদন্তের দাবি স্বামীর

আগরতলা, ১৭ সেপ্টেম্বর: বিশালগড় পূর্ব চম্পামুড়া এলাকার এক পারিবারিক বিবাদ ঘিরে তীব্র বিতর্ক তৈরি হয়েছে। স্বামী কুটন দেবনাথ তাঁর স্ত্রী শিল্পী দেবনাথের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ এনেছেন—অবৈধ সম্পর্ক, ব্ল্যাকমেলিং এবং মিথ্যে মামলায় ফাঁসানোর মতো অভিযোগ উঠে এসেছে এই ঘটনায়। স্বামীর দাবি অনুযায়ী, শিল্পী দেবনাথ বর্তমানে একজন শাসক দলের প্রভাবশালী নেতার সঙ্গে সামাজিকভাবে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন—তবে এর আগে তাঁকে আইনি বিচ্ছেদ (ডিভোর্স) দেওয়া হয়নি।

ঘটনার বিবরণ জানা গিয়েছে, ২০১৮ সালে পশ্চিম নলছড় বিধানসভা কেন্দ্রের বাসিন্দা কুটন দেবনাথের সঙ্গে বিয়ে হয় চম্পামুড়া এলাকার শিল্পী দেবনাথের। তবে স্বামীর অভিযোগ, বিয়ের ১০-১৫ দিনের মধ্যেই শ্বশুরবাড়িতে অশান্তি শুরু করে স্ত্রী এবং কিছুদিনের মধ্যেই সে বাপের বাড়ি চলে যায়। এরপর এক অদ্ভুত পরিস্থিতি তৈরি হয়—স্ত্রী কখনো শ্বশুরবাড়িতে ১০ দিন থাকতো, বাকিটা সময় কাটাতো বাপের বাড়িতে।

স্বামী কুটন দেবনাথের দাবি, স্ত্রী এক সময় সন্তান সহকারে ঝামেলা করে চিরতরে বাপের বাড়িতে চলে যায়। পরে তিনি বারবার অনুরোধ করে স্ত্রীকে ঘরে ফেরানোর চেষ্টা করেন, কিন্তু কোনো সাড়া না পেয়ে, উল্টো তাঁর বিরুদ্ধে আদালতে একাধিক মিথ্যে মামলা রুজু করা হয়।

পরবর্তী সময়ে খোঁজখবর নিয়ে কুটন দেবনাথ জানতে পারেন, বিবাহের আগেই তাঁর স্ত্রীর সম্পর্ক ছিল বিশালগড় পূর্ব লক্ষ্মীবিল এলাকার এক প্রভাবশালী বিজেপি নেতা রাজু দেবনাথ-এর সঙ্গে। এই সম্পর্কের কথা তাঁর অজানা ছিল এবং তিনি মনে করেন, এই সম্পর্কই তাঁদের দাম্পত্য জীবনে অশান্তির মূল কারণ।

আইনগতভাবে স্ত্রী ভরণপোষণ মামলা দায়ের করার পর কুটন দেবনাথ দীর্ঘদিন ধরে নিয়মিত ভরণপোষণের অর্থ দিয়ে আসছেন। কিন্তু তাঁর অভিযোগ, ভরণপোষণের টাকা ছাড়াও তাঁকে ব্ল্যাকমেল করে বহু টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন শিল্পী দেবনাথ।

সবচেয়ে বিস্ময়কর ঘটনা হল—প্রায় পাঁচ-ছয় মাস আগে, আইনি বিচ্ছেদ না নিয়েই শিল্পী দেবনাথ সামাজিকভাবে রাজু দেবনাথের বাড়িতে তাঁর সঙ্গে দ্বিতীয় বিবাহ সম্পন্ন করেছেন বলে অভিযোগ করেছেন কুটন দেবনাথ। তিনি প্রশ্ন তুলেছেন, “আইনি বিচ্ছেদ ছাড়াই কীভাবে একজন বিবাহিত মহিলা দ্বিতীয়বার বিয়ে করতে পারেন?” ওই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও মিথ্যে মামলাগুলি প্রত্যাহারের দাবিতে কুটন দেবনাথ ইতিমধ্যেই প্রশাসনের দ্বারস্থ হয়েছেন। তাঁর বক্তব্য, “আমি একজন সাধারণ মানুষ। আমার জীবনের সঙ্গে প্রতারণা হয়েছে। আমি চাই সত্য উদ্ঘাটিত হোক, মিথ্যা মামলার জালে ফেলে একজন নির্দোষকে হয়রানি করা বন্ধ হোক।”