নয়াদিল্লি, ১২ সেপ্টেম্বর: ভারতের ১৫তম উপ-রাষ্ট্রপতি হিসেবে সিপি রাধাকৃষ্ণন শপথ গ্রহণ করলেন। শুক্রবার সকালে রাষ্ট্রপতি ভবনে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু তাঁকে শপথবাক্য পাঠ করান।
এই ঐতিহাসিক অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, যিনি পরে সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম ‘এক্স’-এ রাধাকৃষ্ণনকে শুভেচ্ছা জানিয়ে লেখেন:
*”থিরু সিপি রাধাকৃষ্ণনজির শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলাম। তিনি একজন নিষ্ঠাবান জনসেবক, যিনি আজীবন দেশগঠন, সমাজসেবা ও গণতান্ত্রিক মূল্যবোধকে শক্তিশালী করতে কাজ করে গিয়েছেন। তাঁর উপ-রাষ্ট্রপতির কার্যকালের জন্য রইল শুভকামনা।”*
শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং সহ বহু গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ও সাংসদ উপস্থিত ছিলেন। পূর্বতন উপ-রাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড়ও অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন এবং নতুন নেতৃত্বের এই পরিবর্তনের সাক্ষী থাকেন।
উল্লেখ্য, সদ্য সমাপ্ত উপ-রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে সিপি রাধাকৃষ্ণন ৪৫২টি প্রথম পছন্দের ভোট পেয়ে বিজয়ী হন। তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী বিরোধী শিবির সমর্থিত বি. সুদর্শন রেড্ডি পান ৩০০ ভোট।
রাধাকৃষ্ণনের জয়কে রাজনৈতিক মহলে ঐক্যসূচক পদক্ষেপ হিসেবে দেখা হয়েছে। তাঁর সুপরিচিত সংযত রাজনৈতিক ভাষা ও আপসহীন ভাবমূর্তি তাঁকে সবদলের গ্রহণযোগ্য প্রার্থী করে তোলে।
শপথগ্রহণের পরই তিনি ভারতের রাজ্যসভার (উচ্চকক্ষ) চেয়ারম্যান পদও গ্রহণ করেন। তামিলনাড়ুর তিরুপ্পুরে জন্মগ্রহণকারী সিপি রাধাকৃষ্ণন ছাত্রনেতা হিসেবে রাজনীতিতে পা রাখেন। কোয়েম্বাটুর থেকে দু’বার লোকসভায় নির্বাচিত হয়েছেন তিনি।
এর আগে তিনি ঝাড়খণ্ড, তেলেঙ্গানা, মহারাষ্ট্র ও পুদুচেরির রাজ্যপাল হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন। দীর্ঘদিন ধরে তিনি রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘ ও ভারতীয় জনতা পার্টির সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন।
তাঁর পরিচ্ছন্ন ভাবমূর্তি, অভিজ্ঞতা এবং সর্বদলীয় সমর্থন আদায়ে সক্ষমতা উপ-রাষ্ট্রপতিরূপে তাঁর নির্বাচনকে বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ করে তুলেছে।

