নয়াদিল্লি, :২০২৫ সালের ‘প্রমোশন অ্যান্ড রেগুলেশন অফ অনলাইন গেমিং অ্যাক্ট, যা সংসদে পাস হওয়ার পর রাষ্ট্রপতির অনুমোদন পেয়েছে, শিগগিরই কার্যকর হতে চলেছে বলে জানালেন কেন্দ্রীয় ইলেকট্রনিক্স ও তথ্যপ্রযুক্তি সচিব এস. কৃষ্ণন।
সোমবার নয়াদিল্লিতে এক সেমিকন্ডাক্টর সংক্রান্ত অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে সচিব বলেন, “এই আইন কার্যকর করতে যাবতীয় প্রক্রিয়া দ্রুততার সঙ্গে সম্পন্ন করা হচ্ছে।”
২০২৫ সালের ‘প্রমোশন অ্যান্ড রেগুলেশন অফ অনলাইন গেমিং অ্যাক্ট’** শিগগিরই কার্যকর হতে চলেছে, যা অনলাইন গেমিং জগতের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক হতে পারে। এই নতুন আইনের মূল লক্ষ্য হল অনলাইন মানি গেম—যেমন বাজি ধরা, জুয়া জাতীয় গেম—এর অপারেশন, প্রচার, বিজ্ঞাপন ও অংশগ্রহণ সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ করা। তবে আইনটি সামাজিক, শিক্ষামূলক ও ই-স্পোর্টস গেমগুলির উৎপ্রেরণা ও নিয়ন্ত্রণের দিকেও জোর দিয়েছে। এখানে “ই-স্পোর্টস” বলতে বোঝানো হচ্ছে এমন প্রতিযোগিতামূলক গেমিং যা নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে, ব্যক্তি বা দলভিত্তিকভাবে অনুষ্ঠিত হয় এবং যা ‘ন্যাশনাল স্পোর্টস গভর্ন্যান্স অ্যাক্ট ২০২৫’-এর অধীনে স্বীকৃত। এই আইন সংসদের মনসুন অধিবেশনে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব উত্থাপন করেন এবং তা দুই কক্ষেই পাশ হয়।
এই প্রেক্ষিতে ভারতীয় প্রযুক্তি খাতে আরও একটি বড় পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে—সেমিকন্ডাক্টর শিল্পে। কেন্দ্রীয় আইটি সচিব এস. কৃষ্ণন জানিয়েছেন, ভারতে তৈরি প্রথম বাণিজ্যিক চিপ এই বছরই বাজারে আসবে, যা দেশের জন্য গর্বের বিষয়। অপরদিকে মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব জানিয়েছেন, ভারত এখন মোবাইল ফোনের প্রতিটি উপাদান নিজেই উৎপাদনের পথে এগোচ্ছে, যার মধ্যে চিপ থেকে শুরু করে কভার গ্লাস, ল্যাপটপ, সার্ভার সবই রয়েছে। গত ১১ বছরে ভারতের ইলেকট্রনিক্স উৎপাদন শিল্প ৬ গুণ বৃদ্ধি পেয়ে ₹১১.৫ লক্ষ কোটি টাকায় পৌঁছেছে**, যার মধ্যে রপ্তানি হয়েছে ₹৩ লক্ষ কো
এই অনলাইন গেমিং আইন কার্যকর হলে গেমিং জগতে আসবে আরও স্বচ্ছতা ও নিরাপত্তা, যা বিশেষ করে তরুণ সমাজের জন্য ইতিবাচক দিক। পাশাপাশি, দেশীয় প্রযুক্তি ও উৎপাদনের অগ্রগতির মাধ্যমে **ভারত বিশ্বব্যাপী ইলেকট্রনিক্স ম্যানুফ্যাকচারিং-এর অন্যতম কেন্দ্র হয়ে উঠতে পারে।

