আগরতলা, ১ আগস্ট : রাজ্যের নাগরিকগণ রাজ্যের স্বাস্থ্য পরিষেবার প্রতি আস্থাশীল হচ্ছেন। চিকিৎসার জন্য বহিরাজ্যে যাওয়ার প্রবণতাও অনেক হ্রাস পেয়েছে। রাজ্যের স্বাস্থ্য পরিষেবা আরও আধুনিক করতে রাজ্য সরকার প্রতিনিয়ত কাজ করছে। ত্রিপুরাতে স্বাস্থ্য হাব গড়ে তোলার জন্য রাজ্য সরকার বিভিন্ন প্রকল্প রূপায়ণ করছে। আজ কার্ল ল্যান্ডস্টেইনার অডিটোরিয়ামে আগরতলা সরকারি মেডিক্যাল কলেজের ২১তম প্রতিষ্ঠা দিবসের অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করে মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর (ডা.) মানিক সাহা একথা বলেন।
অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ২০০৫ সালে এই কলেজ যাত্রা শুরু করে। কলেজ প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে যাদের অবদান রয়েছে তাদের শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করতে হবে। বর্তমানে সারা দেশেই আগরতলা সরকারি মেডিক্যাল কলেজের গরিমা রয়েছে। কলেজের ছাত্রছাত্রী, শিক্ষক শিক্ষিকাদের এই গরিমা রক্ষা করতে হবে। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, বর্তমানে এ.জি.এম.সি.-তে এম.বি.বি.এস কোর্সে ১৫০টি আসন রয়েছে। শুরুতে ১০০টি আসন নিয়ে এই কলেজটি চালু হয়েছিল। বর্তমানে ১৫০টি আসনের মধ্যে ১১৮-টি আসন রাজ্যের ছাত্রছাত্রীদের জন্য বাকি ২২টি আসন কেন্দ্রীয় সরকারের নোমিনি এবং ১০টি আসন উত্তর পূর্বাঞ্চলের ছাত্রছাত্রীদের জন্য বরাদ্দ রয়েছে। বর্তমানে এই কলেজে এম.বি.বি.এস. পাঠরত ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা ৫২৫ জন। এখন পর্যন্ত এই কলেজ থেকে ১,৪৮৪ জন এম.বি.বি.এস, পাশ করেছেন। এরমধ্যে রাজ্যের ১২৭০ জন। তারা রাজ্যের বিভিন্ন গ্রামীণ ও প্রত্যন্ত অঞ্চলের স্বাস্থ্য পরিষেবায় নিয়োজিত রয়েছেন এবং তারা আন্তরিকতার সঙ্গে স্বাস্থ্য পরিষেবা দিচ্ছেন। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, বর্তমানে ২০টি বিষয়ে পি.জি. করার সুযোগ রয়েছে। পি.জি.-র আসন সংখ্যা ৮৯টি। প্রসঙ্গক্রমে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, রাজ্যের মানুষ চিন্তাই করতে পারেননি এখানেও কিডনি ট্রান্সপ্ল্যান্ট করা সম্ভব হবে। বর্তমানে রাজ্যেই জটিল অস্ত্রোপচার এবং চিকিৎসা করা সম্ভব হচ্ছে। স্বাস্থ্য পরিষেবার মান উন্নয়নে রাজ্য সরকার বহুমুখী পরিকল্পনা গ্রহণ করে তা রূপায়ণ করছে। জেলা হাসপাতালগুলির পরিকাঠামো আরও আধুনিক করা হচ্ছে।
অনুষ্ঠানে কলেজের বার্ষিক প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। মুখ্যমন্ত্রী উদিচি শীর্ষক ওয়াল ম্যাগাজিনের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন। বিভিন্ন বর্ষে এম.বি.বি.এস এবং পি.জি. কোর্সে পাঠরত ছাত্রছাত্রীদের উল্লেখযোগ্য ফলাফলের জন্য পুরস্কৃত করা হয়। মুখ্যমন্ত্রী সহ অতিথিগণ ছাত্রছাত্রীদের হাতে স্মারক উপহার ও শংসাপত্র তুলে দেন। অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন স্বাস্থ্য সচিব কিরণ গিতো, বিবেকনগরস্থিত রামকৃষ্ণ মিশনের সম্পাদক স্বামী শুভকরানন্দজি মহারাজ। স্বাগত বক্তব্য রাখেন আগরতলা সরকারি মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ ডা. অনুপ কুমার সাহা। উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য দপ্তরের অধিকর্তা ডা. তপন মজুমদার, পরিবার কল্যাণ ও রোগ প্রতিরোধক দপ্তরের অধিকর্তা ডা. অঞ্জন দাস, মেডিক্যাল এডুকেশনের অধিকর্তা ডা. এইচ. পি. শর্মা প্রমুখ।

