আগরতলা, ৩১ জুলাই : বন্য হাতির তাণ্ডব থেকে জনসাধারণকে সুরক্ষা দিতে নিয়োজিত ভলেন্টিয়ারদের আর্থিক ও প্রশাসনিক সমস্যার সমাধানে উদ্যোগী হলেন জনজাতি কল্যাণ মন্ত্রী তথা কৃষ্ণপুর বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক বিকাশ দেববর্মা।
গত ২৯ জুলাই তেলিয়ামুড়ার ২৯ কৃষ্ণপুর মন্ডল কার্যালয়ে এক গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে মন্ত্রী স্বয়ং উপস্থিত থেকে ভলেন্টিয়ারদের সমস্যা শোনেন ও তা সমাধানের আশ্বাস দেন। এই বৈঠকে অংশগ্রহণ করেন ৪২ জন হাতি তাড়ানোর ভলেন্টিয়ার, মন্ডল সহ-সভাপতি গোপাল দাস, খোয়াই জেলার সংখ্যালঘু মোর্চার সভাপতি রশিদ মিয়া সহ অন্যান্য মন্ডল নেতৃত্বরা।
বৈঠকে ভলেন্টিয়াররা জানান, তারা বহুদিন ধরে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বনাঞ্চল ঘেঁষা এলাকায় মানুষের জানমাল রক্ষায় কাজ করে চলেছেন, কিন্তু তাঁদের যথাযথ পারিশ্রমিক মিলছে না। বর্তমান বেতন অপ্রতুল, আবার অনেক ক্ষেত্রেই সময়মতো পাওয়া যায় না বলে অভিযোগ ওঠে।
বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে মন্ত্রী বিকাশ দেববর্মা বলেন, “বর্তমান সরকার মানবিক মূল্যবোধে বিশ্বাসী। এই ভলেন্টিয়াররা সরকার ও সমাজের এক অমূল্য সম্পদ। তাঁদের ন্যায্য দাবি-দাওয়াকে আমরা গুরুত্ব দিচ্ছি। তাঁদের বেতন যাতে সময়মতো ও যুক্তিসংগত হয়, সেই বিষয়ে আমরা পদক্ষেপ নিচ্ছি।
মন্ত্রী বৈঠক চলাকালীনই বনদপ্তরের উচ্চপদস্থ আধিকারিকদের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করেন এবং প্রতিটি ভলেন্টিয়ারের মাসিক ভাতা পাঁচ হাজার টাকার উপরে উন্নীত করার সুপারিশ করেন। এছাড়া, বেতনের বিলম্ব রোধে প্রশাসনিক প্রক্রিয়া আরও সহজ করারও নির্দেশ দেন তিনি।
প্রসঙ্গত, তেলিয়ামুড়া মহকুমার বিস্তীর্ণ বনাঞ্চলসংলগ্ন গ্রামগুলিতে বহু বছর ধরে বন্য হাতির হামলার ঘটনা ঘটে চলেছে। আগের সরকার এই সমস্যা সমাধানে দৃশ্যমান পদক্ষেপ না নিলেও, বর্তমান সরকার ভলেন্টিয়ার নিয়োগসহ একাধিক বাস্তবধর্মী উদ্যোগ নিয়েছে। মন্ত্রীর এই পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়ে অনেকে বলেন, এটি সরকারের মানবিক ও দায়িত্বশীল মনোভাবেরই প্রতিফলন।

