ড্রাসে কারগিল বিজয় দিবস উপলক্ষে ‘মাই ভারত’-এর পদযাত্রা: ১৯৯৯ সালের বিজয়ের ২৬ বছর পূর্তি উদযাপন

নয়াদিল্লি, ২৬ জুলাই : ২৬ জুলাই ভারতের গৌরবময় সামরিক ইতিহাসের এক স্মরণীয় দিন। এই দিনেই ১৯৯৯ সালে ভারতীয় সেনাবাহিনী কারগিল যুদ্ধে বিজয় অর্জন করেছিল, এবং সেই বিজয়ের ২৬তম বার্ষিকীতে ড্রাসে আয়োজন করা হয়েছে এক বিশেষ পদযাত্রা। ‘মাই ভারত’—যুব বিষয়ক ও ক্রীড়া মন্ত্রকের অন্তর্গত এক যুব সংগঠনের উদ্যোগে আয়োজিত এই পদযাত্রা স্মরণ করাবে বীর শহীদদের আত্মত্যাগ এবং দেশপ্রেমের অনন্য উদাহরণ।

এই পদযাত্রার নেতৃত্বে থাকবেন কেন্দ্রীয় যুব বিষয়ক ও ক্রীড়া ও শ্রম মন্ত্রী ড. মনসুখ মাণ্ডব্য এবং প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী শ্রী সঞ্জয় সেঠ। তাঁদের সঙ্গে অংশ নেবেন এক হাজারেরও বেশি যুব স্বেচ্ছাসেবক, সশস্ত্র বাহিনীর সদস্য, শহীদদের পরিবার, প্রাক্তন সেনাকর্মী এবং সাধারণ নাগরিকরা। পদযাত্রাটি সকাল ৭টা থেকে হিমাবাস পাবলিক হাই স্কুল, ড্রাস থেকে শুরু হয়ে শেষ হবে গভর্মেন্ট হায়ার সেকেন্ডারি স্কুল, ভিমবেট-এ—মোট ১.৫ কিমি পথ অতিক্রম করে।

পদযাত্রা শেষে দুই কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সহ ১০০ জন যুব স্বেচ্ছাসেবক কারগিল যুদ্ধ স্মৃতিসৌধে গিয়ে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করবেন এবং ১৯৯৯ সালের কারগিল যুদ্ধে শহীদ সেনাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাবেন। এ ছাড়াও এই দিনে সম্মান জানানো হবে ২৬ জন নারী বাইকারকে, যাঁরা শক্তি উদ্ঘোষ ফাউন্ডেশনের সদস্য এবং শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে দীর্ঘ বাইক র্যালি করে স্মৃতিসৌধে পৌঁছাবেন।

এই পদযাত্রার একটি বিশেষ দিক হলো পরিবেশ সচেতনতা। অংশগ্রহণকারীরা “এক পেড় মা কে নাম” নামে একটি বৃক্ষরোপণ কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করবেন। এই উদ্যোগের মাধ্যমে দেশপ্রেমের পাশাপাশি পরিবেশের প্রতিও দায়বদ্ধতা প্রকাশ করা হবে, যা বিকসিত ভারত @২০৪৭-এর লক্ষ্যের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ।

পদযাত্রার আগে ড্রাস অঞ্চলে স্থানীয় যুব সমাজের অংশগ্রহণে আয়োজন করা হয়েছে প্রবন্ধ রচনা, চিত্রাঙ্কন, বক্তৃতা প্রতিযোগিতা এবং ‘যুব সংবাদ’-এর মতো বিভিন্ন সাংস্কৃতিক ও বুদ্ধিবৃত্তিক কার্যক্রম। এর লক্ষ্য তরুণ প্রজন্মের মধ্যে দেশপ্রেম, সেনাবাহিনীর আত্মত্যাগ ও নাগরিক দায়িত্ববোধ গড়ে তোলা।

এই পদযাত্রা কেবল একটি স্মারক আয়োজন নয়, বরং বিকসিত ভারত পদযাত্রা উদ্যোগের অংশ হিসেবে এক জাতীয় আত্মদর্শনের প্রতিফলন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর জন-ভাগীদারি এবং রাষ্ট্রনির্মাণে নাগরিকদের সক্রিয় ভূমিকার দর্শন অনুসরণ করে এই ধরনের কর্মসূচি যুব সমাজকে দেশ গঠনের অনুপ্রেরণা দিচ্ছে।

ড্রাসের পাহাড়ি উপত্যকায় অনুষ্ঠিত এই পদযাত্রা তরুণদের মনে দেশপ্রেম, ঐক্য এবং আত্মত্যাগের চেতনা জাগিয়ে তুলবে। এটি এমন এক স্মৃতিচারণ যা শুধু অতীতের গৌরব মনে করিয়ে দেবে না, বরং ভবিষ্যতের জন্য সুশৃঙ্খল, দেশপ্রেমিক ও দায়িত্বশীল নাগরিক তৈরির পথও দেখাবে।