ভুবনেশ্বরে১৭-১৮ জুলাই অনুষ্ঠিতহবে “সুশাসন অনুশীলন” বিষয়ক জাতীয় সম্মেলন

 ভুবনেশ্বর,১৬ জুলাই:সুশাসনেরউন্নয়ন ও প্রসারের লক্ষ্যেপ্রশাসনিক সংস্কার ও জনঅভিযোগ দপ্তরএবং ওডিশা সরকারের যৌথউদ্যোগে আগামী ১৭ ও১৮ জুলাই ভুবনেশ্বরে আয়োজিতহতে চলেছে দুই দিনব্যাপীজাতীয় সম্মেলন। সম্মেলনেরমূল প্রতিপাদ্য হচ্ছে “সুশাসনের অনুশীলন”। এই জাতীয় সম্মেলনের আনুষ্ঠানিকউদ্বোধন করবেন ভারতের কর্মী,জনঅভিযোগ ও পেনশন দপ্তরেরমাননীয় প্রতিমন্ত্রী ডঃ জিতেন্দ্র সিংএবং সদ্য নির্বাচিত ওডিশামুখ্যমন্ত্রী মোহন চরণমজিহি। তারাসম্মেলনের উদ্বোধনী অধিবেশনে যৌথ ভাষণ প্রদানকরবেন। এছাড়াওউপস্থিত থাকবেন ডিএআরপিজি-এরসচিব ভি. শ্রীনিবাসএবং ওডিশা সরকারের মুখ্যসচিব মনোজ আহুজা, যাঁরাউদ্বোধনী অধিবেশনে বক্তব্য রাখবেন। দুই দিনব্যাপী এই সম্মেলনে পাঁচটিপূর্ণাঙ্গ অধিবেশন অনুষ্ঠিত হবে, যার প্রতিটিঅধিবেশনে সরকারি প্রশাসনের বিভিন্নস্তরের প্রতিনিধিরা অংশ নেবেন।এই অধিবেশনগুলির লক্ষ্য থাকবে প্রধানমন্ত্রীরএক্সেলেন্স পুরস্কারপ্রাপ্ত বিভিন্ন উদ্ভাবনী ও রূপান্তরমূলক উদ্যোগতুলে ধরা এবং সেগুলিরবাস্তবায়নের পদ্ধতি ও প্রভাববিশ্লেষণ করা। প্রথমঅধিবেশনের বিষয়বস্তু হল “প্রধানমন্ত্রীর পুরস্কারপ্রাপ্তউদ্যোগ ২০২৪ – জেলার সামগ্রিকউন্নয়ন”। এইঅধিবেশনটির সভাপতিত্ব করবেন  পুনীতযাদব, অতিরিক্ত সচিব, ডিএআরপিজি।দ্বিতীয় অধিবেশনে “আকাঙ্ক্ষিত ব্লক কর্মসূচি”-র ওপর আলোচনারআয়োজন করা হয়েছে, যারসভাপতিত্ব করবেন ডিএআরপিজি-এরযুগ্মসচিব স্মৃতি সরিতা চৌহান। এই সম্মেলনে মোট ২০ জনেরওবেশি বক্তা, যাঁরা বিভিন্নজেলা ও রাজ্যে দায়িত্বপালন করছেন এবং প্রধানমন্ত্রীপুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন, তাঁদেরনিজ নিজ প্রকল্প উপস্থাপনকরবেন। তাঁরাব্যাখ্যা করবেন কীভাবে বিভিন্নসরকারি উদ্যোগের মাধ্যমে তাঁরা জেলার সার্বিকবিকাশ ঘটিয়েছেন, সাধারণ মানুষের জীবনমানউন্নত করেছেন এবং প্রশাসনিকদক্ষতা বৃদ্ধি করেছেন। সম্মেলনেউপস্থিত থাকবেন দেশের বিভিন্নপ্রান্ত থেকে আগত জেলাশাসক, কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকারেরপদস্থ আধিকারিকরা এবং অন্যান্য প্রশাসনিককর্মকর্তা। প্রায়২০০-র বেশি প্রতিনিধিএই অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন বলেজানা গেছে। এই জাতীয় সম্মেলনের অন্যতমউদ্দেশ্য হলো কেন্দ্র ওরাজ্যের প্রশাসনিক কাঠামোগুলির মধ্যে একটি সহযোগিতামূলকপ্ল্যাটফর্ম তৈরি করা, যেখানেসারা দেশের সুশাসনের উৎকৃষ্টচর্চাগুলি একে অপরের সঙ্গেভাগ করে নেওয়া যায়। এতেএকদিকে যেমন বিভিন্ন উদ্ভাবনীউদ্যোগের ব্যাপক প্রচার সম্ভবহবে, অন্যদিকে সেগুলির সম্ভাব্য পুনরাবৃত্তি বা বাস্তবায়ন অন্যান্যরাজ্য ও জেলাতেও করাযাবে। এই সম্মেলনে ডিজিটাল গভার্ন্যান্স, জনসেবার মানোন্নয়ন, ভবিষ্যতের সরকারি পরিষেবা ওপ্রশাসনিক উদ্ভাবনের মতো বিষয়গুলি ঘনিষ্ঠভাবেআলোচিত হবে। একইসঙ্গে,উপস্থিত আধিকারিকরা জনঅভিযোগ নিষ্পত্তির উন্নত পদ্ধতি, প্রযুক্তিনির্ভরস্বচ্ছতা বৃদ্ধি, এবং সরকারি পরিষেবারকার্যকর পদ্ধতি নিয়ে অভিজ্ঞতাবিনিময় করবেন। প্রশাসনিকসংস্কার ও জনঅভিযোগ দপ্তরেরপক্ষ থেকে জানানো হয়েছে,এই জাতীয় সম্মেলনটি দেশেরপ্রশাসনিক ব্যবস্থার মধ্যে সুশাসনের উৎকৃষ্টমানদণ্ড তৈরি করতে গুরুত্বপূর্ণপদক্ষেপ হিসেবে চিহ্নিত হবে। বিভিন্নরাজ্যের জেলা শাসক ওপ্রশাসনিক আধিকারিকদের মাধ্যমে বাস্তব অভিজ্ঞতা ওপ্রেক্ষাপট ভিত্তিক উদাহরণ উপস্থাপনের মাধ্যমেভবিষ্যতের রূপান্তরমূলক নীতিনির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবেএই সম্মেলন। সম্মেলনকেসফল করতে ডিএআরপিজি ওওডিশা সরকার যৌথভাবে প্রস্তুতিগ্রহণ করেছে। আয়োজকরাআশাবাদী যে, এই ধরনেরজাতীয় মঞ্চ ভবিষ্যতে ভারতেরপ্রশাসনিক কাঠামোকে আরও শক্তিশালী ওজনমুখী করে তুলবে।