টাকার বিনিময়ে খুনের মামলার আসামীর নাম বদলে দিল পুলিশ, অভিযোগ মৃতের পরিবারের, মুখ্যমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষন

আগরতলা, ১০ জুলাই: টাকার বিনিময়ে খুনের মামলার আসামীর নাম বদলে দিল পুলিশ। স্বজ্ঞানে ইচ্ছাকৃতভাবে এক সেনা জওয়ান গাড়ি চাপা দিয়ে একব্যক্তিকে খুন করেছে। তার নামে সুনির্দিষ্টভাবে খুনের মামলা দায়ের করা হলেও অভিযুক্তের জায়গায় অন্য আরেক জনের নাম বসিয়ে দেয় পুলিশ। মৃতের পরিবারের সদস্যদের অভিযোগ, খুনের মামলায় টাকার বিনিময়ে মূল অভিযুক্তকে ছেড়ে দিয়েছে পুলিশ।

গত ১৯ জুন বিশালগড় থানাধীন ঘনিয়ামারা চৌমুহনীতে একটি বীভৎস ঘটনা সংগঠিত হয়। দুই পক্ষের মারামারিতে আহত হয়েছিল তোফাজ্জল হুসেন নামে এক ব্যক্তি। পরে সেই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ধুন্দুমার কান্ড সংগঠিত হয় সেখানে। ফারুক মিয়া নামে এক ব্যক্তি একটি গাড়ি নিয়ে এসে আহত তফাজ্জলকে উদ্ধার করে নিয়ে আসার পথে তার টিআর০৭ – ই – ০৬৮২ নাম্বারের গাড়ি দিয়ে বেশ কয়েকজনকে পিষে দেয়। সেই ঘটনায় মৃত্যু হয়েছিল রেজ্জাক মিয়া নামে এক ব্যক্তির। চালক তথা ঘাতক ফারুক মিয়া একজন সেনা জওয়ান। তবে সেই ঘটনা এক নাটকীয় মোড় নেয় বিশালগড় থানায়। ঘটনার কয়েকদিন নীরব থাকার পর হঠাৎ করে সেই ঘটনায় মূল অভিযুক্তকে বাঁচিয়ে দেবার ছক এবং দর কষা শুরু হয় বলে অভিযোগ মৃতের পরিবারের সদস্যদের।

মূল অভিযুক্ত ফারুককে বাঁচানোর জন্য আহত তফাজ্জলকে গাড়ি চালক হিসেবে আদালতে তদন্ত রিপোর্ট জমা দেয় বিশালগড় থানা। বিশালগড় থানার ওসি এবং তদন্তকারী অফিসার প্রসেনজিৎ দেবনাথের তদন্তে আহত তফাজ্জলকে গাড়ি চালক হিসেবে পেশ করা হয় বলে অভিযোগ। অথচ ঘটনার দিনে গুরুতর আহত অবস্থায় তফাজ্জলকে হাসপাতালে পাঠানোর ছবি রয়েছে। মূল অভিযুক্ত সেনা জওয়ান ফারুকের চাকরি বাঁচানোর বদলে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে গোটা ঘটনার মোড় পাল্টে দেওয়া হয়। এদিকে এমন ধারায় মামলা করা হয় যাতে অনায়াসে জামিন পেয়ে যাবে তফাজ্জল।

এই ঘটনায় পুলিশের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তুলেছে মৃতের পরিবারের। ন্যায় বিচার থেকে বঞ্চিত রেজ্জাক মিয়ার পরিবার মুখ্যমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করছে। ঘটনায়, সুষ্ঠ তদন্তের দাবি জানিয়েছেন মৃতের পরিবারের সদস্যরা। না হলে বৃহত্তর আন্দোলনের হুশিয়ারি দিয়েছেন তারা।