আগরতলা, ৫ জুলাই : রথযাত্রার দিন সন্ধ্যা সাড়ে পাঁচটার সময় কাঞ্চনপুর মহকুমার কাঞ্চনপুর থানাধীন উত্তর রবীন্দ্রনগরের ৪ নম্বর ওয়ার্ডে এক গৃহে চুরির ঘটনা ঘটে। চোরের দল হানা দিয়ে দুটি সোনার চেইন, একটি বেসলেট এবং একটি আংটি নিয়ে পালিয়েছে। ওই ঘটনার পরপরই গৃহস্বামী কল্পনা ভট্টাচার্য কাঞ্চনপুর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। মামলার তদন্তে নেমে পুলিশ দ্রুত অভিযানে নেমে তিনজন অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়।
ধৃতরা হলেন—পিন্টু নাথ, সুমন বড়ুয়া ও শুভ্রজিৎ বড়ুয়া, সকলেই কাঞ্চনপুরের রবীন্দ্রনগর এলাকার বাসিন্দা। জিজ্ঞাসাবাদে ধৃত পিন্টু নাথ স্বীকার করে যে, সে গত সোমবার ধর্মনগরে এসে সেন্ট্রাল রোডের “সাথী সিটি গোল্ড” নামক একটি গয়নার দোকানে সোনার একটি চেইন ও একটি বেসলেট ৯০ হাজার টাকায় বিক্রি করে। এরপর কাঞ্চনপুর থানার পুলিশ শুক্রবার রাতে ধর্মনগরে গিয়ে উক্ত দোকানে অভিযান চালায়। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে দোকানের মালিক সুদীপ বড়াই পালিয়ে যায়, তবে তার মা দীপিকা গড়াই দোকানে উপস্থিত ছিলেন।
পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদে দীপিকা গড়াই স্বীকার করেন যে, ধৃত পিন্টু নাথ তাদের দোকানে চেইন ও বেসলেট বিক্রি করে। তিনি আরও জানান, অলংকারগুলি তিনি ব্যাংকে বন্ধক রেখে সেখান থেকে ৯০ হাজার টাকা ঋণ নিয়েছিলেন এবং সেই অর্থ পিন্টুকে দিয়েছিলেন, কারণ পিন্টু তার নিজের সোনার গয়না বিক্রি করতে চেয়েছিল।
পুলিশ দীপিকা গড়াইকে নিয়ে ধর্মনগর পৌরসভার অধীনস্থ সেই বাড়িতে যায়, যেখানে তারা ভাড়া থাকেন। তদন্ত চালিয়ে পুলিশ সোনার গয়না উদ্ধার করতে না পারলেও, ব্যাংকে বন্ধক দেওয়া সোনার চেইন ও বেসলেট সংক্রান্ত নথিপত্র উদ্ধার করে। এসব নথিপত্র বাজেয়াপ্ত করে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়।
পিন্টু নাথও স্বীকার করে যে, ৯০ হাজার টাকা সে পেয়েছে। বর্তমানে চুরির ঘটনার তদন্ত এগিয়ে চলেছে এবং পুলিশ নিশ্চিতভাবেই এই মামলার মূল উৎস পর্যন্ত পৌঁছাতে সচেষ্ট।
এই ঘটনার পর কাঞ্চনপুর থানা ও ধর্মনগর পুলিশের যৌথ তৎপরতা পুলিশের সক্রিয়তা ও পেশাদারিত্বের দৃষ্টান্ত হয়ে দাঁড়িয়েছে। এখন দেখার বিষয়, তদন্তে চুরির পেছনের সম্পূর্ণ চক্র কতদূর উন্মোচিত হয়।