নিজস্ব প্রতিনিধি, বক্সনগর, ২৮ জুন:
গ্রামের পরম্পরা ও ঐতিহ্যকে রক্ষা করতে আর সাধারণ মানুষের সঙ্গে আত্মিক সম্পর্ক বজায় রাখতে শনিবার সকালে বক্সনগর বিধানসভার বিধায়ক তফাজ্জল হোসেন আশাবাড়ি গ্রামে হঠাৎ পৌঁছে যান। মর্নিং ওয়াকের সময় তিনি দেখতে পান স্থানীয় কৃষকরা জমিতে সিঞ্চন করে মাছ ধরছেন। সাধারণ মানুষের মতো সাড়া দিয়ে তিনি নিজেও কাদা-জলে নেমে কৃষকদের সঙ্গে মাছ ধরার আনন্দ উপভোগ করেন।
এই ঘটনায় উপস্থিত কৃষক ও সাধারণ মানুষদের মধ্যে খুশির জোয়ার বয়ে যায়। কেউ কেউ বলেন, “আমরা কখনো কোনো বিধায়ককে এইভাবে আমাদের পাশে দাঁড়াতে দেখিনি। আগের বিধায়করা গাড়িতে এসেও কথা বলতেন না। কিন্তু তফাজ্জল বাবু নিজেই গাড়ি থামিয়ে আমাদের সঙ্গে কথা বলেন, জমিতে নেমে মাছ ধরেন, ট্রাক্টর চালিয়ে চাষ করেন।”
বিধায়ক নিজে জানান, “এইসব দৃশ্য আমাকে আমার ছোটবেলার কথা মনে করিয়ে দেয়। বাবার সঙ্গে এভাবেই আমি মাছ ধরতাম, জমিতে কাজ করতাম। কৃষি আমার হৃদয়ের সঙ্গে জড়িয়ে আছে।” তিনি আরও জানান, “আমি চাই, কৃষকদের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করতে। কারণ তারা এই সমাজের আসল বীর।সাধারণ মানুষদের সঙ্গে কথা বলার সময় এক কৃষক জানান, তার একটি ট্রাক্টর আছে। বিধায়ক সঙ্গে সঙ্গে তাকে আরেকটি ট্রাক্টর দেওয়ার আশ্বাস দেন। উপস্থিত এক প্রবীণ বলেন, “আগে প্রধান ও বিধায়কদের পেছনে ঘুরেও কিছু পাওয়া যেত না। আর এখন বাড়িতে এসেই কৃষি যন্ত্রপাতি দিয়ে সাহায্য করা হচ্ছে। এটাকেই আমরা পরিবর্তন বলি।”
স্থানীয়দের বক্তব্য, “তফাজ্জল হোসেন শুধু একজন জনপ্রতিনিধি নন, তিনি আমাদের পরিবারের একজন। আমাদের দুঃখ-কষ্টকে তিনি নিজের মতো করে বোঝেন। আমরা আগামী দিনেও এমনই একজন জনদরদী বিধায়ককে চাই, যিনি আমাদের মাটির গন্ধ জানেন, হৃদয়ের টান বুঝেন।” বিধায়কের এই ব্যতিক্রমী উদ্যোগ আজ আরও একবার প্রমাণ করল—মানুষের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তোলার জন্য দরকার মাটি ও মানুষের সঙ্গে মিশে যাওয়ার আন্তরিকতা।

