কমিউনিস্ট এবং কংগ্রেস ভারতের সংবিধান, কৃষ্টি, সংস্কৃতি কিছুই মানে না, কিন্তু হাস্যকর ব্যাপার তাঁরাই আবার সংবিধানের দোহাই দেয় : বিপ্লব

আগরতলা, ২৮ জুন : কমিউনিস্ট এবং কংগ্রেস ভারতের সংবিধান, কৃষ্টি, সংস্কৃতি কিছুই মানে না। কিন্তু হাস্যকর ব্যাপার তাঁরাই আবার সংবিধানের দোহাই দেয়। আজ ভারতীয় জনতা পার্টির শহর সদর জেলার উদ্যোগে নজরুল কলাক্ষেত্রে এক সেমিনারের বাম কংগ্রেস বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা সাংসদ বিপ্লব কুমার দেব।

এদিন সাংসদ বলেন, জরুরি অবস্থা ঘোষণার মত কোনো পরিস্থিতি না থাকা সত্বেও শুধু মাত্রই ব্যক্তিগত কারনে ইন্দিরা গান্ধী ইমার্জেন্সি ঘোষণা করেন। একমাত্র নিজের অহংকারের কারণে স্বাধীন ভারতে এক কালো ইতিহাস রচনা করে গেছেন। তিনি নিজের ছেলের সাথে পরামর্শ করে দেশে ইমার্জেন্সি ঘোষণা করেন। এদিকে, ত্রিপুরায় কমিউনিস্টরা ৩৫ বছর ক্ষমতার দম্ভে রাজ্যের মানুষের সমস্ত অধিকার খর্ব করেছে। বিগত দিনের বাম আমলে মানুষের ব্যক্তি স্বাধীনতা বলতে কিছুই ছিল না। দলের নির্দেশ ছাড়া কিছুই করা যেত না।

এদিন তিনি আরও বলেন, হাস্যকর ব্যাপার কমিউনিস্ট এবং কংগ্রেস একে অপরকে দোষারোপ করে। কিন্তু তাঁরাই এনএলএফটি ও এটিটিএফ সৃষ্টি করছে। কমিউনিস্ট এবং কংগ্রেস ভারতের সংবিধান, কৃষ্টি, সংস্কৃতি কিছুই মানে না। কিন্তু কংগ্রেস এবং কমিউনিস্টরাই আবার সংবিধানের দোহাই দেয়। কিছুদিন ধরে আচমকাই কমিউনিস্টের নেতৃত্বরা জ্যোতিষী হয়েছেন। ২০২৮ সালের বিধানসভা নির্বাচনে পুনরায় সিপিএমের সরকার ক্ষমতায় আসবে বলে দাবি করছেন।

তিনি আরও বলেন, যারা সংবিধান নিয়ে বেশী ঘুরে বেড়ায় তারাই সংবিধান হত্যা করেছে। যে ইন্দিরা গান্ধীর সময়ে সংবিধানের হত্যা করা হলো, তারই নাতি রাহুল গান্ধী সংবিধান হাতে ঘুরে বেড়ায়, কিন্তু এর কিছুই জানেনা। কত পৃষ্ঠা আছে, তা পর্যন্তও জানেনা। প্রকৃত ইতিহাস থেকে মানুষকে দূরে রাখাই তাঁদের আসল উদ্দেশ্য।

তাঁর কটাক্ষ, কমিউনিস্টরা হল পার্মানেন্ট ইমার্জেন্সি। ক্ষমতার দম্ভে ৩৫ বছর ত্রিপুরার মানুষকে সমস্ত ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত করেছে। কংগ্রেস ও কমিউনিস্টরা ইংরেজদের ব্যবস্থাকেই কায়েম করে রেখেছিলো। তাঁরা রাজনৈতিক স্বার্থ আদায়ের পরোক্ষ কাহিনী। ইতিহাস ভুলিয়ে দিলেই, অস্তিত্ব বিলীন হয়ে যাবে, এই প্রচেষ্টাই ছিল তাঁদের।