আরএসএস পরিচালিত বিজেপি সরকার মানুষকে বিভ্রান্ত করছে : কংগ্রেস

আগরতলা, ২০ জুন : আরএসএস পরিচালিত বিজেপি সরকার মানুষকে বিভ্রান্ত করছে। মোদী সরকার এখন পর্যন্ত পর্যন্ত নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি পালন করে নি। সরকারি তথ্যে অনুযায়ী ত্রিপুরায় বেকার সংখ্যা বর্তমানে ১৪.৩ শতাংশে এসে দাঁড়িয়েছে। আজ প্রদেশ কংগ্রেস ভবনে সাংবাদিক সম্মেলনে করে এমনটাই অভিযোগ তুলেছেন কংগ্রেসের মুখপাত্র প্রবীর চক্রবর্তী।

এদিন তিনি বলেন, আরএসএস বিজেপি পরিচালিত মোদি সরকারের ১১ বছর পূর্তির সময়কালকে দেশের অমৃতকাল বলে আখ্যায়িত করে সরকারি তহবিলের কোটি কোটি টাকা খরচ করে প্রচার মাধ্যমকে ব্যবহার করা হচ্ছে। নরেন্দ্র মোদী তাঁর শাসনকালে ১১ বছরে সৃষ্ট দেশের মূল সমস্যাদি নিয়ে যাতে প্রশ্নের মুখোমুখি হতে না হয়, তার জন্য যেমন সাংবাদিক সম্মেলন এড়িয়ে যাচ্ছে তেমনি এই বিষয়গুলি নিয়ে পার্লামেন্টে বিরৌীদের তোলা প্রশ্নের জবাবও এড়িয়ে যাচ্ছে, বলে অভিযোগ করেন তিনি।

তাঁর কথায়, ত্রিপুরায় ক্ষমতায় আসতে বিজেপি সরকার জনগনকে ভুল প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। জনগণকে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল সরকার গঠন হওয়ার পর বেকার সমস্যা সমাধান হবে। কিন্তু দেখা গিয়েছে ২০১৪ সালে দেশে বেকারী ৫.৪ শতাংশ ছিল। ২০২৫ সালে সরকারি তথ্যেই ৭.৯ শতাংশ (আইএলও রিপোর্ট সংখ্যাটা ৯.৩ শতাংশ)। এর মধ্যে ত্রিপুরায় সংখ্যাটা বর্তমানে ১৪.৩ শতাংশ। কেন্দ্রীয় সরকারের শূন্যপদ ৯.৬৪ লক্ষ।

এদিন তিনি আরও বলেন, এ বছরের বাজেটেই ১০ লক্ষ কোটি টাকা বিলগ্নীকরণ করার মাধ্যমে আয় করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এই সময়ে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের ঋণখেলাপীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ৬৬৫ জন। এরা প্রায় সকলেই মোদি বান্ধব বলে পরিচিত।এসময়ে কপোরেটদের শুধু ২০২০-২০২৪ সালেই মোট ৬ লক্ষ ৫০ হাজার কোটি টাকার ঋণ মকুব করেছে। অথচ কৃষকদের ঋণ মকুব না করার কারণে ১ লক্ষ ৪৭৪জন কৃষক এই সময়ে আত্মহত্যা করেছে।

এদিন তিনি আরও বলেন, ২০১৯-২০ সালের পর থেকে কৃষকদের আয় নিয়ে কোনওরূপ তথ্য প্রকাশ করছেন না। শুধু কৃষিতেই জীবিকা নির্বাহ করার কৃষকের সংখ্যা বর্তমানে কমে দাঁড়িয়েছে ২০.৭ শতাংশ। কৃষির সাথে অন্যান্য কাজের মাধ্যমে জীবিকা নির্বাহ করা মানুষের সংখ্যা ৪২.৪ শতাংশ। কৃষিক্ষেত্রটাকে কর্পোরেটদের হাতে সঁপে দেওয়ার অনেক তথ্যের মধ্যে একটি ফসল বীমা যোজনায় কৃষকরা লাভবান হোক বা না হোক এই প্রকল্প থেকে বিমা কোম্পানিগুলি গত পাঁচ বছরে মুনাফা করেছে সরকারি তথ্য অনুযায়ী ৫০ হাজার কোটি টাকারও বেশি (বিমা কোম্পানিগুলির মধ্যে মাত্র দুটি হচ্ছে সরকারি সংস্থা)। কৃষিপণ্যের সহায়ক মূল্য বৃদ্ধির হার ২০০৪-১৪তে ছিলো ১.১৭ শতাংশ হারে। আর ২০১৪-২৫ সালে তা দাঁড়িয়েছে ০.৫৩ শতাংশে।