ইটানগর, ১৫ জুন : ভারতের কৃষি খাতে এক ঐতিহাসিক পদক্ষেপ নিল অরুণাচল প্রদেশ। রাজ্যটি দেশের মধ্যে প্রথমবারের মতো নির্দিষ্ট ক্রুড পাম অয়েল (সিপিও) পরিকাঠামো গড়ে তুলে একটি মাইলফলক স্পর্শ করেছে। রোইং ও রুকসিনে দুটি আধুনিক সিপিও মিল স্থাপন করে অরুণাচল এই খাতে পথপ্রদর্শকের ভূমিকা নিচ্ছে।
এই ঘোষণার পাশাপাশি রাজ্য সরকার ‘কৃষিনীতি ২০২৫–৩৫’ চালু করেছে, যা আগামী দশক ধরে রাজ্যের কৃষি খাতে টেকসই ও অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়নের দিশা দেখাবে। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী পেমা খান্ডু তাঁর এক্স হ্যান্ডেল থেকে এই নীতির আনুষ্ঠানিক সূচনা ও বিভিন্ন কৃষিভিত্তিক উদ্যোগের কথা জানান।
নতুন কৃষিনীতি ছাড়াও মুখ্যমন্ত্রী জানান, রাজ্যে চালু হয়েছে মিলেট, বাকউইট ও মধু মিশন, যার মাধ্যমে স্থানীয় কৃষকদের ক্ষমতায়ন এবং আয় বৃদ্ধির লক্ষ্যে কাজ চলছে। উল্লেখযোগ্যভাবে, রাজ্যে খাদ্যশস্য উৎপাদন নতুন রেকর্ড স্থাপন করেছে—৫,১৯,৭০৩ মেট্রিক টনে পৌঁছেছে মোট উৎপাদন।
কৃষিভিত্তিক পরিকাঠামো উন্নয়নের অংশ হিসেবে ইটানগর ও তেজু বিমানবন্দরের নিকট কোল্ড স্টোরেজ এবং গুদামজাতকরণ সুবিধা গড়ে তোলা হচ্ছে, যা ফসল কাটার পর ক্ষয়ক্ষতি কমিয়ে কৃষিপণ্য সংরক্ষণে সহায়ক হবে।
এই সব উদ্যোগ মিলিয়ে অরুণাচল প্রদেশের কৃষি খাত একটি সুসংহত রূপান্তরের পথে এগিয়ে চলেছে। রাজ্যের এই অগ্রগতি কেবল আঞ্চলিক কৃষকদের জন্য নয়, গোটা উত্তর-পূর্ব ভারতের কৃষি-নির্ভর অর্থনৈতিক রূপান্তরের মডেল হয়ে উঠতে পারে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। মুখ্যমন্ত্রী খান্ডুর নেতৃত্বে রাজ্য সরকার যে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে, তা আগামী দিনে খাদ্য নিরাপত্তা, কৃষক কল্যাণ এবং অর্থনৈতিক বিকাশে উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলবে বলেই আশা করা হচ্ছে।

