পিএম সূর্যঘর মুক্ত বিজলি যোজনায় গরীব অংশের জনগণ বিশেষভাবে উপকৃত হবেন: বিদ্যুৎমন্ত্রী

বিলোনীয়া, ৪ মে : প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তি বিশেষ করে সৌরশক্তির ব্যবহারের উপর গুরুত্ব দিয়েছেন। এ লক্ষ্যে সারা দেশে প্রধানমন্ত্রী সূর্যঘর মুফত বিজলি যোজনার সূচনা করা হয়েছে। রাজ্যেও এই প্রকল্পের সুবিধা সকলের কাছে পৌঁছে দিতে এবং বিদ্যুৎ গ্রাহকদের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে রাজ্যের বিভিন্ন মহকুমায় শিবির করা হচ্ছে। আজ বিলোনীয়া মহকুমার রাজনগর বিবেকানন্দ ক্রাফট সেন্টারে আয়োজিত পিএম সূর্যঘর মুফত বিজলি যোজনা শিবিরের উদ্বোধন করে একথা বলেন বিদ্যুৎমন্ত্রী রতনলাল নাথ।

অনুষ্ঠানে বিদ্যুৎমন্ত্রী বলেন, বিদ্যুৎ ছাড়া আধুনিক জীবনযাপন সম্ভব নয়। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ভবিষ্যত প্রজন্মের কথা মাথায় রেখে পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তির উপর জোর দিয়েছেন। সৌরশক্তিকে ব্যবহার করে নিজ বাড়িতে বিদ্যুৎ উৎপাদন, বিদ্যুৎ বিলের সাশ্রয় এবং অনগ্রিডের মাধ্যমে অতিরিক্ত উৎপাদিত বিদ্যুৎ প্রেরণের মাধ্যমে বাড়তি রোজগারের লক্ষ্যে পিএম সূর্যঘর মুফত বিজলি যোজনা চালু করা হয়েছে। এতে গরীব অংশের জনগণ বিশেষভাবে উপকৃত হবেন। রাজ্যেও এই প্রকল্প বাস্তবায়িত হচ্ছে এবং গ্রাহকদের মধ্যে ব্যপক সাড়া পরিলক্ষিত হচ্ছে। ইতিমধ্যেই অনেক গ্রাহক এই প্রকল্পে নিজ বাড়িতে প্ল্যান্ট বসিয়ে বিদ্যুৎ বিল শূন্যের কোঠায় নিয়ে এসেছেন। অনেকে আবার অনগ্রিডের মাধ্যমে অতিরিক্ত বিদ্যুৎ নিগমকে প্রেরণ করে বাড়তি রোজগারও করছেন।

তিনি বলেন, প্রাকৃতিক গ্যাসের বিকল্প হিসেবে সরকার সৌরশক্তিচালিত পিএম সূর্যঘর মুফত বিজলি যোজনা নিয়ে এসেছে। এই প্রকল্পে ডোমেস্টিক গ্রাহকরা নিজ বাড়িতে ১০ কিলোওয়াট পর্যন্ত প্ল্যান্ট বসাতে পারবেন। ৩ কিলোওয়াট পর্যন্ত সরকারি ভর্তুকির ব্যবস্থা রয়েছে। সর্বোচ্চ ভর্তুকি হচ্ছে ৮৫ হাজার ৮০০ টাকা। গ্রাহকরা নিজেদের পছন্দমত অনলাইন কিংবা রেজিস্ট্রিকৃত সংস্থার মাধ্যমে প্রকল্পটি নিজ বাড়িতে ছাদ, টিনের চাল বা উঠানে স্থাপন করতে পারবেন। এক্ষেত্রে এককালীন টাকার ব্যবস্থা না থাকলে ব্যাংক লোনেরও ব্যবস্থা রয়েছে। প্রকল্পটি চালু থাকলেও সরকারি ভর্তুকি আগামী ২০২৭ সালের মার্চ মাস পর্যন্ত পাওয়া যাবে। এছাড়া এই প্রকল্প স্থাপনের ফলে বিদ্যুৎ সাশ্রয়ের পাশাপাশি পরিবেশের কোনও ক্ষতি হবে না। তাই এই প্রকল্পের সুবিধা গ্রহণের জন্য তিনি সকলের কাছে আবেদন জানান।

অনুষ্ঠানে বিদ্যুৎমন্ত্রী বিলোনীয়া মহকুমা এলাকার বিদ্যুৎ গ্রাহক যারা পিএম সূর্যঘর মুফত বিজলি যোজনার সুবিধা নিয়েছেন এবং আজকের শিবিরে যারা প্রকল্পের সুবিধা নেওয়ার জন্য রেজিস্ট্রেশন করেছেন তাঁদের সাথে মতবিনিময় করেন। অনুষ্ঠানে প্রকল্পের সুবিধা গ্রহণকারীরা তাঁদের অভিজ্ঞতা এবং প্ল্যান্ট বসানোর সুবিধার কথা সকলের সামনে তুলে ধরেন। অনুষ্ঠানে বিধায়ক স্বপ্না মজুমদার সকলকে পিএম সূর্যঘর প্রকল্পের সুবিধা গ্রহণ করার জন্য আবেদন জানান। অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন রাজনগর পঞ্চায়েত সমিতির চেয়ারম্যান বিশ্বজিৎ নাথ, সমাজসেবী দীপায়ন চৌধুরী, জয়দীপ সরকার, পিএম সূর্যঘর মুফত বিজলি যোজনার নোডাল অফিসার শিশির দেববর্মা, বিদ্যুৎ নিগমের অতিরিক্ত জি.এম. কান্তি দে প্রমুখ। শিবিরে মোট ৫৭ জন এই প্রকল্পের সুবিধা নেওয়ার জন্য রেজিস্ট্রেশন করেছেন।