মুম্বাই, ৯ মে : সীমান্তে উত্তেজনা বৃদ্ধির প্রেক্ষিতে ভারতীয় নৌবাহিনী মুম্বাইয়ের মৎস্যজীবীদের সঙ্গে এক গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক করে উপকূলবর্তী সংবেদনশীল এলাকাগুলিতে মাছ ধরতে নিষেধ করেছে।
নৌবাহিনী সূত্রে খবর, সংবেদনশীল এলাকায় প্রবেশ করলে ‘শুট টু কিল’ নির্দেশ কার্যকর করা হবে। সমুদ্রপথে নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে মৎস্যজীবীদের উপকূল রেখা বরাবর যাতায়াতে নিষেধাজ্ঞাও জারি করা হয়েছে। মুম্বাইয়ের মাছ ধরা নৌকাগুলির ওপর সমীক্ষা চালানো হবে এবং একটি অ্যাপের মাধ্যমে তাদের তথ্য সংগ্রহ করা হবে বলে জানানো হয়েছে।
সূত্র আরও জানিয়েছে, পাকিস্তান সম্প্রতি গুজরাটের কিছু মৎস্যজীবীর নৌকা জব্দ করেছে। যদিও মৎস্যজীবীদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। এই নৌকাগুলি ভবিষ্যতে ভারতের বিরুদ্ধে ব্যবহারের আশঙ্কা করছে নিরাপত্তা সংস্থাগুলি, যেমন ২৬/১১ মুম্বাই হামলার সময় ঘটেছিল।
এছাড়া শুধু মুম্বাই নয়, কোঙ্কন ও অন্যান্য উপকূলবর্তী এলাকাতেও সতর্কতা জারি করা হয়েছে। কোঙ্কনে নিরাপত্তা বাহিনীর গতিবিধি বেড়েছে এবং উপকূল অঞ্চলে কড়া নজরদারি চালানো হচ্ছে। সাধারণ নাগরিকদের সন্দেহজনক নৌকা বা ব্যক্তিকে দেখলে সঙ্গে সঙ্গে পুলিশকে জানানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এরই মধ্যে আরব সাগরে পাকিস্তান-বিরোধী লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারিত অভিযান চালিয়েছে ভারতীয় নৌবাহিনী।
জম্মু ও কাশ্মীর সহ ভারতের বিভিন্ন অঞ্চলে পাকিস্তানের ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলার চেষ্টা ব্যর্থ করা হয়েছে। জম্মু, পাঠানকোট ও উধমপুরের সামরিক ঘাঁটিতে পাকিস্তান-উৎপত্তি ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্রের মাধ্যমে হামলা চালানো হয়, যা প্রতিরক্ষা বাহিনী নির্ধারিত স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রোটোকল অনুযায়ী প্রতিহত করেছে। প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মতে, এতে কোনো হতাহতের ঘটনা বা বস্তুগত ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। ভারত সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, “দেশের সার্বভৌমত্ব ও জনগণের নিরাপত্তা রক্ষায় ভারত সম্পূর্ণভাবে প্রস্তুত।”