আগরতলা, ১৩ এপ্রিল: বিদ্যুৎ নিগমের আউটসোর্সিং কর্মী তাপস নমঃ দাসের মর্মান্তিক মৃত্যু ঘিরে উত্তাল হয়ে উঠল জিবি হাসপাতাল চত্বর। বেশ কিছুদিন পূর্বে কাজ করতে গিয়ে উপর থেকে পড়ে গুরুতর আহত হন তাপস। তাকে দ্রুত জিবি হাসপাতালে ভর্তি করা হলেও, চিকিৎসাধীন অবস্থায় শনিবার রাতে তাঁর মৃত্যু হয়।
এই মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়তেই সহকর্মীদের মধ্যে চরম ক্ষোভ দেখা দেয়। তারা অভিযোগ তুলেন, যে বেসরকারি সংস্থার হয়ে তাপস নমঃ দাস কাজ করতেন, তারা কোনো ধরনের সহযোগিতা করেনি। এমনকি দুর্ঘটনার পর চিকিৎসা ও ক্ষতিপূরণ নিয়েও তারা উদাসীন ভূমিকা নেয় বলে অভিযোগ উঠেছে।
একজন বিদ্যুৎ কর্মী বলেন, বিদ্যুৎ দপ্তরের কাজ ঝুঁকিপূর্ণ হলেও আমাদের বেতন অত্যন্ত কম। বিভিন্ন জায়গায় যেতে হয়, গাড়ি ভাড়া দিতে হয়—সব মিলিয়ে সংসার চালানো কঠিন হয়ে পড়ে। আর যখন এই ধরনের দুর্ঘটনা ঘটে, তখন কোম্পানি পাশে দাঁড়ায় না। আজ তাপসের সঙ্গে হয়েছে, কাল হয়তো অন্য কারও সঙ্গে হতে পারে। এভাবে কীভাবে নিশ্চিন্তে এই কাজ করব? সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে এমনটাই প্রশ্ন তুলেন তিনি।
এদিকে, রবিবার সকালে থেকেই হাসপাতালের সামনে জড়ো হতে থাকেন কর্মীরা। পরবর্তীতে মৃতদেহ মর্গে নিয়ে যাওয়ার পথে বিদ্যুৎ দপ্তরের সামনে রাজপথ অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখানো হয়। পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে যখন বিক্ষোভকারীরা নিয়োগকারী সংস্থার এক আধিকারিককে ধরে গণপিটুনি দেন। এই মৃত্যুকে নিয়ে ক্ষোভে ফুঁসছেন তাপসবাবুর সহকর্মীরা। তাঁদের দাবি, মৃত কর্মীর পরিবারকে উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ, স্থায়ী চাকরি ও ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত হোক।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বিদ্যুৎ অফিস চত্বরে বিশাল পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।