আগরতলা, ১২ এপ্রিল: ওয়াকফ সংশোধনী আইন প্রত্যাহারের দাবিতে আজ কৈলাসহরের রাজপথে যৌথ মঞ্চের উদ্যোগে প্রতিবাদ মিছিল বের হয়েছিল। এদিনের মিছিলটি টিলাবাজার থেকে শুরু হয়ে মহকুমা শাসকের পুরাতন কার্যালয়ে গিয়ে শেষ করার কথা ছিল। কিন্তু গন্তব্যে পৌঁছানোর আগেই কুবজার এলাকায় মিছিলটিকে আটকে দেয় পুলিশ। তাতেই মূহুর্তের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। এমনকি, পুলিশ এবং বিক্ষোভকারীদের মধ্যে খন্ডযুদ্ধ শুরু হয়। তাতে বেশ কয়েকজন পুলিশ কর্মী এবং আন্দোলনকারী আহত হয়েছেন। এর মধ্যে আহত হয়েছেন পুলিশ কর্মী দেবজিৎ দাস সহ অনেকেই। ওই ঘটনায় পুলিশ প্রায় ৭ জনকে গ্রেফতার করে। এদিকে, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে গিয়েছেন জেলা পুলিশ আধিকারিক ও ডিআইজি রথীরঞ্জন দেবনাথ। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে গোটা এলাকায় মোতায়েন করা হয়েছে টিএসআর, সিআরপিএফ ও বিএসএফ।
ঘটনার বিবরণে জানা গিয়েছে, পূর্ব নির্ধারিত সূচি অনুসায়ী আজ ভারত সরকারের ডাক বিভাগের সামনে ওয়াকফ সংশোধনী বিল প্রত্যাহারের দাবিতে মিছিল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল যৌথ মঞ্চ। এদিনের মিছিলটি টিলাবাজার থেকে শুরু হয়ে মহকুমা শাসকের পুরাতন কার্যালয়ে গিয়ে শেষ করার কথা ছিল। কিন্তু গন্তব্যে পৌঁছানোর আগেই কুবজার এলাকায় মিছিলটিকে আটকে দেয় পুলিশ। ওই ঘটনায় মূহুর্তের মধ্যে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়ে পড়ে। একসময় আন্দোলনকারীদের নিয়ন্ত্রনে আনতে পুলিশ দুই একজনের উপর মৃদু লাঠি চালিয়েছিল। তাতেই শুরু হয় পুলিশ এবং বিক্ষোভকারীদের মধ্যে খন্ড যুদ্ধ। তাতে বেশ কয়েকজন আন্দোলনকারী আহত হয়েছেন। পাশাপাশি দুই-একজন পুলিশ কর্মীর ও সামান্য আঘাত লেগেছে। ওই ঘটনায় পুলিশ প্রায় সাতজনকে গ্রেফতার করেছে। এদিকে, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে গিয়েছেন জেলা পুলিশ আধিকারিক, ও ডিআইজি রথীরঞ্জন দেবনাথ।
কিন্তু ডিআইজি আসার পূর্বেই বিষয়টি শান্ত হয়ে যায়। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। নিরাপত্তার জন্য গোটা এলাকায় বিশাল পুলিশ বাহিনর, টিএসআর, সিআরপিএফ ও বিএসএফ মোতায়েন রয়েছে। এদিকে, কৈলাসহরে উত্তপ্ত পরিস্থিতি কে কেন্দ্র করে জেলা পুলিশ সুপার ও কংগ্রেস নেতা বদরুজ্জামানের মধ্যে বাকযুদ্ধ। এদিন সাংবাদিকের মুখোমুখি হয়ে ডিআইজি রথীরঞ্জন দেবনাথ বলেন, ওয়াকফ সংশোধনী আইন বাতিলের দাবীতে কৈলাসহর কুবঝার এলাকায় মিছিল বের করা হয়েছিল। কিন্তু মিছিলের পেছন দিক থেকে পুলিশের ইট ছুঁড়া হচ্ছিল। তাতে গুরুতর আহত হয়েছে বেশ কয়েকজন পুলিশ কর্মী। মিছিলকারীদের মধ্যে হাতাহাতি খন্ড যুদ্ধ। আহত বেশ কয়েকজন। পরে কাঁদানো গ্যাস ছাড়তে বাধ্য হয়েছে পুলিশ। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে এলাকায় মোতায়েন বিশাল পুলিশ বাহিনী। ওই ঘটনায় পুলিশ তদন্ত শুরু করবে পুলিশ।