নয়াদিল্লি, ১০ মার্চ (হি.স.): ভারতীয় অনুচিন্তন নারী ও পুরুষের মধ্যে সমতা প্রতিষ্ঠার চেয়ে তাঁদের মধ্যে সুসম্পর্ক স্থাপনের ওপরই বেশি জোর দেয়। এই মন্তব্য করেছেন অখিল ভারতীয় ইতিহাস সংকলন যোজনার জাতীয় সাংগঠনিক সচিব ডঃ বালমুকুন্দ পান্ডে। দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা অনুষদ ক্যাম্পাসে আয়োজিত “ভারতীয় চিন্তনে নারী” শীর্ষক জাতীয় সেমিনারের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন ডঃ বালমুকুন্দ। এই সেমিনারটি ভারতীয় ইতিহাস সংকলন যোজনার (দিল্লি প্রান্ত) মহিলা ইউনিটের ইতিহাসবিদ পরিষদ দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের হিন্দু অধ্যয়ন কেন্দ্র, রামানুজন মহাবিদ্যালয়, ও ভারতীয় দার্শনিক অনুসন্ধান পরিষদের যৌথ পৃষ্ঠপোষকতায় আয়োজন করা হয়েছিল। অখিল ভারতীয় ইতিহাস সংকলন যোজনা হল ইতিহাসের ক্ষেত্রে কাজ করা রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের একটি সহযোগী সংস্থা।
এই অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন অখিল ভারতীয় ইতিহাস সংকলন যোজনার মহিলা ইতিহাসবিদ পরিষদের প্রধান এবং ইতিহাসবিদ অধ্যাপক ডঃ সুস্মিতা পান্ডে। তিনি বলেন, এখন ভারতীয় দৃষ্টিকোণ থেকে নারীদের ভূমিকা মূল্যায়ন ও ইতিহাস অধ্যয়নের প্রয়োজন। রামানুজন কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডঃ রসাল সিং বলেন, পশ্চিমী দেশগুলির তুলনায় ভারতীয় সমাজ নারীদের বেশি অধিকার এবং স্বায়ত্তশাসন দিয়েছে। দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিন অধ্যাপক ডঃ বলরাম পানি তাঁর ভাষণে ভারতীয়ত্বে নারীর মহৎ রূপের উপর জোর দেন।
জাতীয় সেমিনারে দিনব্যাপী আটটি কারিগরি অধিবেশনে প্রায় ৮০টি গবেষণাপত্র উপস্থাপন করা হয়। এরপর সমাপনী অধিবেশনের আয়োজন করা হয়। এই একদিনের জাতীয় সেমিনারে সারা দেশ থেকে শিক্ষক, গবেষক এবং শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করেছিলেন। সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রাক্তন মেয়র এবং দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ডঃ রজনী আব্বি নারী অধিকার সম্পর্কে সচেতনতার গুরুত্বের উপর জোর দেন এবং বলেন, সমসাময়িক বিষয়গুলিতে এই ধরনের ইতিবাচকতা নিয়ে কাজ করা সময়ের দাবি।
—————