আগরতলা, ১০ মার্চ: চৌদ্দ দেবতার মন্দির প্রাঙ্গণে প্রাইমারি হেলথ সেন্টার নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছে রাজ্য সরকার। কিন্তু এবিষয়ে সরকারের তরফ থেকে তিপ্রাসাদের কোনো তথ্য দেওয়া হয়নি। আজ মন্দির পরিদর্শনে গিয়ে এমনটাই দাবি করেন তিপরা মথার প্রাক্তন সুপ্রিমো তথা এমডিসি প্রদ্যোত কিশোর দেববর্মণ। তাঁর মতে, সীমানায় কোন ধরনের উন্নয়নমূলক কাজ করতে গেলে সরকারকে জানাতে হয়। তা না হলে ভুল বোঝাবুঝির সৃষ্টি হতে পারে।
এদিন শ্রী দেবর্বমণ বলেন, চৌদ্দ দেবতা বাড়ি মন্দির চত্বরে এক হেলথ সেন্টার খোলার বিষয়কে কেন্দ্র করে কিছু সমস্যা দেখা দিয়েছে। ওই সমস্যা দূরীকরণে জন্য আজ বিধায়ক রতন চক্রবর্তী, সচিব কিরণ গিত্তে সহ অন্যান্য অফিসাদের সাথে বৈঠকে মিলিত হয়েছে তিনি। মূলত ওই বৈঠকের মাধ্যমে কিভাবে সমস্যা সমাধান করা যায় এই বিষয়ে আলোচনা হয়েছে বলে জানান তিনি। আবারো কয়েক সপ্তাহ পরে বিধায়ক এবং সমাজপতিদের সাথে বৈঠকের কথা হয়েছে।
এদিন তিনি বলেন, চৌদ্দ দেবতা মন্দির রাজ্যবাসীর আবেগ এবং ঐতিহ্য। ঐতিহ্যকে ধরে রাখার জন্য একত্রে কাজ করতে হবে। পাশাপাশি, এদিন তিনি বলেন, মন্দিরের সীমানায় কোন ধরনের উন্নয়নমূলক কাজ করতে গেল সরকারকে এবিষয়ে তিপ্রাসাদের জানাতে হবে। তা নাহলে ভুল বোঝাবুঝির সৃষ্টি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। কারণ, আনাদের ঐতিহ্য, সংস্কৃতি ও ইতিহাস যাতে বিকৃত না হয় তার জন্য একত্রে আওয়াজ তুলতে হবে।
এদিকে, এবিষয়ে স্থানীয় বিধায়ক রতন চক্রবর্তী বলেন, চৌদ্দ দেবতা মন্দির চত্বরে একটি প্রাইমারি হেলথ সেন্টার নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছে রাজ্য সরকার। কিন্তু কিছু ভুল বোঝাবুঝির কারণে সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে। কারণ, তিপ্রাসাদের ধারণা মন্দিরের সীমায় ওই প্রাইমারি হেলথ সেন্টার খোলা হচ্ছে। এবিষয়েই আজ প্রদ্যোত কিশোর দেববর্মণ এবং অন্যান্যদের সাথে বৈঠক করা হয়েছে।