হাফলং (অসম), ৬ মাৰ্চ (হি.স.) : ধর্ষণের চেষ্টা চালানোর দায়ে গ্রেফতার হয়েছে অমিত দাস (২৯) নামের এক ব্যক্তি। ঘটনাটি সংগঠিত হয়েছে আজ বৃহস্পতিবার হাফলঙের অদূরে শনটিলায়।
হাফলং জওহর নবোদয় বিদ্যালয়ে ওয়েলডিং-এর কাজে নিয়োজিত হাইলাকান্দির বাসিন্দা অমিত দাস। বৃহস্পতিবার দুপুর সাড়ে বারোটা নাগাদ স্কুল থেকে বেরিয়ে শনটিলার কাছে এক শিক্ষকের বাড়িতে যায় অমিত। বাড়িতে গিয়ে গৃহিণীকে ঘরে একা পেয়ে ধর্ষণের চেষ্টা চালিয়েছিল সে।
ভুক্তভোগিনী গৃহিণী জানিয়েছেন, গতকালই অমিত দাস নামের ব্যক্তিটির সঙ্গে তাঁদের পরিচয় হয়েছে। আজ দুপুরে সে তাঁদের বাড়ি এসে প্রথমে চুলা বানিয়ে দেওয়ার কথা বলে। তাঁর স্বামী এখন ঘরে নেই, তিনি বাড়ি আসার পর তার সঙ্গে এ ব্যাপারে কথা বলতে বলে তিনি ঘরের ভিতরে চলে যান। সে সময় অমিত দাস তাঁর (গৃহিণী) পেছনে পেছনে ঘরে ঢুকে। ঘরে ঢুকে স্বামীর একটি শার্ট নিয়ে তাঁর মুখ বেঁধে দেওয়ার চেষ্টা করে অমিত। অমিতের সঙ্গে ধস্তাধস্তি করতে গিয়ে মাটিতে পড়ে যান তিনি। এরই মধ্যে সে তাঁকে ঝাপটে ধরতে গলে তিনি তার গোপনাঙ্গে আঘাত করে চিৎকার শুরু করেন।
চিৎকার শুনে আশপাশের মানুষ জড়ো হলে অমিত দাস পালিয়ে স্কুলে চলে যায়। তার পর বেশ কয়েকজন মহিলা জওহর নবদয় বিদ্যালয়ে গিয়ে অমিত দাসকে পেয়ে উত্তমমধ্যম দিতে থাকেন। তখন বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ অমিত দাসকে তাদের হাত থেকে উদ্ধার করে স্কুলের একটি রুমে ঢুকিয়ে দরজা বন্ধ করে দেন।
ঘটনার খবর ছড়িয়ে পড়েলে আশপাশের বহু মানুষ বিদ্যালয় ঘেরাও করে অমিত দাসকে তাঁদের হাতে তুলে দেওয়ার দাবি জানালে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বিদ্যালয়ের গেট বন্ধ করে দেন বলে অভিযোগ। খবর যায় হাফলং থানায়। থানা থেকে পুলিশের দল জওহর নবোদয় বিদ্যালয়ে গিয়ে অমিত দাসকে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে আসে। অভিযুক্ত পুলিশের হেফাজতে রয়েছে। এদিকে ভুক্তভোগিনী মহিলা, তাঁর স্বামী সহ এলাকার মানুষ অমিত দাসের কঠোর শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।