খোয়াই, ৯ জানুয়ারি : নিখোঁজ নাবালিকাকে ফিরিয়ে আনতে গেলে মেয়ের পরিবারের উপর আঘাত করল ছেলের বাড়ির সদস্যরা। এতে আহত হয়েছেন তিনজন।
ঘটনার বিবরনে প্রকাশ, গত ৬ জানুয়ারি খোয়াই চেবড়ি এলাকার বাসিন্দা গোপাল দাস’র নাবালিকা কন্যা পরীক্ষা দিতে যাওয়ার পথে নিখোঁজ হয়। পরদিন ৭ জানুয়ারি নাবালিকার পরিবারের পক্ষ থেকে খোয়াই মহিলা থানায় নিখোঁজ ডাইরি করা হয়। পড়ে নাবালিকার পরিবার জানতে পারে মেয়েটিকে কমলপুর থানাধীন কার্তিকগ্রাম এলাকায় নিয়ে আসা হয়েছে। তারা ৮ জানুয়ারি পুলিশ নিয়ে কার্তিকগ্রাম গেলে মেয়ে আছে বলে স্বীকার করতে চায়নি। বাধ্য হয়ে তারা ফিরে যায়। এদিকে আজ মেয়ের বাবা গোপাল দাস, মা গীতা দাস ও ভাই বিজয় দাস কার্তিকগ্রাম যায়। তারা গিয়ে দেখে তাদের মেয়েকে ভরত শতনামি (পিতা রঞ্জিত শতনামি )’র সাথে বিবাহ দেওয়ার জন্য নিয়ে যাচ্ছে। তখন মেয়ের অভিবাবক জানায় তারা এখন মেয়েকে নিয়ে যাবে। পড়ে প্রাপ্তবয়স্ক হলে বিবাহ দেবে।
এই নিয়ে দুপক্ষে কথা কাটাকাটি হলে ছেলের পক্ষ মেয়ের পক্ষের উপর হামলে পড়ে বলে অভিযোগ। তাদের আক্রমণে গোপাল দাস, তার স্ত্রী গীতা দাস ও ছেলে বিজয় দাস ‘র উপর লাঠি নিয়ে সংঘবদ্ধভাবে আক্রমণ চালায়। তিনজন এতে গুরুতর আহত হয়। এদিকে গোপাল দাস ‘র বড় ছেলে সেই খবর পেয়ে কমলপুর থানা থেকে পুলিশ নিয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছলে ভরত সৎনামি ‘র পক্ষের লোকেরা পালিয়ে যায়। এদিকে আহতদের কমলপুর বিএসএম হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। সেখানে গোপাল দাস ও গীতা দাস ‘র আঘাত গুরুতর হওয়ায় তাদেরকে ধলাই জেলা হাসপাতালে রেফার করা হয়। এদিকে পুলিশ ভরত সৎনামি ও নাবালিকা কন্যাকে থানায় নিয়ে আসে। জানা যায় সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম থেকেই দুজনের মধ্যে প্রণয়ের সম্পর্ক গড়ে উঠে। জানা যায় গোপাল দাস ‘র পরিবারের পক্ষ থেকে ভরত সৎনামির পরিবারের বিরুদ্ধে থানায় একটি মামলা করা হচ্ছে।