কলকাতা, ১১ ডিসেম্বর(হি.স.): বাংলাদেশে সংখ্যালঘু হিন্দু এবং মডারেট মুসলিমদের ওপর লাগাতার নির্যাতন এবং ইসকনের সদস্যদের উপর হামলার প্রতিবাদে ইসকনের পক্ষে আন্তর্জাতিক আদালতে লড়াইয়ের ঘোষণা করল অখিল ভারত হিন্দু মহাসভা। বুধবার শিলিগুড়িতে সংগঠনের রাজ্য সভাপতি ড. চন্দ্রচূড় গোস্বামী এই সিদ্ধান্তের কথা জানান।
তিনি বলেন, “ইসকনের চিন্ময় কৃষ্ণ প্রভুকে যেভাবে অন্যায়ভাবে আটক করা হয়েছে তা মধ্যযুগীয় বর্বরতাকেও লজ্জা দেয়। সারা বিশ্বে কৃষ্ণের বাণী প্রচারকারী এবং সমাজসেবামূলক কাজ করা ইসকনের সদস্যদের সমাজের ক্যানসার বলে চিহ্নিত করে হত্যা করার হুমকি দিচ্ছে মৌলবাদী সন্ত্রাসীরা। বাংলাদেশের সরকার এই ঘটনায় মৌন থেকে তাদের উস্কানি দিচ্ছে, যা প্রমাণ করে দেশটি কার্যত সন্ত্রাসবাদীদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।”
হিন্দু মহাসভার আইনি শাখা ‘ন্যায়বিচার মঞ্চ’ ইতিমধ্যে ইসকন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে এবং তাদের পক্ষে আন্তর্জাতিক আদালতে নিঃশুল্ক আইনি লড়াইয়ের প্রস্তাব দিয়েছে। হিন্দু মহাসভার আইনি উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট দীনেশ পানি বলেন, “আমরা ইন্টারন্যাশনাল কোর্ট অব জাস্টিসে মানবাধিকারের ধারা ১৮ ও ১৯ লঙ্ঘনের অভিযোগে মামলা করার প্রস্তুতি নিচ্ছি।”
ড. গোস্বামী বলেন, “বাংলাদেশের সরকার এবং বি.এন.পি নেতাদের পক্ষ থেকে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চল দখলের যে হুমকি দেওয়া হচ্ছে তা ‘গাজবা-ই-হিন্দ’-এরই অংশ। এটি অত্যন্ত গুরুতর বিষয়। আমরা ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার এবং পশ্চিমবঙ্গ সরকারের কাছ থেকে ত্বরিত পদক্ষেপ আশা করছি।”
হিন্দু মহাসভার মহিলামোর্চার সদস্য প্রজ্ঞা ভারতী বলেন, “আমরা আর অত্যাচার সহ্য করতে প্রস্তুত নই। প্রয়োজনে প্রতিরোধ এবং প্রতিশোধ নেওয়া হবে।”
ইসকনের শীর্ষ কর্তৃপক্ষ হিন্দু মহাসভার এই উদ্যোগের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছে। সংগঠনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, তারা বাংলাদেশের সংখ্যালঘুদের ওপর হামলার বিষয়ে আন্তর্জাতিক মহলের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে সবরকম প্রয়াস চালাবে।
এই সিদ্ধান্তের ফলে বাংলাদেশের সংখ্যালঘু নির্যাতনের বিষয়টি আন্তর্জাতিক স্তরে পৌঁছবে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।