আগরতলা, ২ ডিসেম্বর: আসাম রাজ্য দিবস উপলক্ষে আজ আগরতলায় রাজভবনেও এক অনাড়ম্বর অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করে রাজ্যপাল ইন্দ্র সেনা রেড্ডি নাল্লু বলেন, এক জাতি এক রাষ্ট্র, প্রধানমন্ত্রীর এই নীতির প্রতিফলন বিভিন্ন রাজ্যের প্রতিষ্ঠা দিবস উদযাপন। রাজ্যপাল আসাম দিবস উপলক্ষে আসামবাসীদের শুভেচ্ছা জানান।
অনুষ্ঠানে রাজ্যপাল বলেন, গতবছর ত্রিপুরার রাজ্যপালের দায়িত্ব গ্রহনের পর এ নিয়ে দ্বিতীয়বার তিনি এখানে আসাম দিবসে সামিল হলেন। আসাম রাজ্যকে এক গুরুত্বপূর্ণ রাজ্য হিসাবে উল্লেখ করে রাজ্যপাল বলেন, বন্যপ্রাণী, প্রত্নত্তত্ব, চা বাগিচা ও শিল্পের সমৃদ্ধ সমাহারের কারণে দেশে বিদেশে বিশেষ পরিচিটি রয়েছে আসাম রাজ্যের। তেমনি, কৃষ্টি, সংস্কৃতি, ঐতিহ্য সব দিক দিয়েই এক সমৃদ্ধ রাজ্য। ১২০০ শতকে আসাম রাজ্য প্রতিষ্ঠায় মহারাজা চাউলুঙ সুকাফার অবদানের কথা বিশেষ ভাবে উল্লেখ করেন রাজ্যপাল।
আসামকে তিনি উত্তরপূর্বাঞ্চলের বানিজ্যের প্রবেশদ্বার হিসাবে আখ্যা দেন। উত্তর পূর্বাঞ্চলের অন্যান্য রাজ্যের সঙ্গে আসামের সংস্কৃতি ও সমৃদ্ধির সম্পর্ক ভবিষ্যতে আরও এগিয়ে যাবে বলে তিনি প্রত্যাশা করেন। ভারতের বিকাশের রেখাচিত্রে অসামারের অবদান উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাবে এন্ড রাজ্য আরো সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে যাবে বলে প্রত্যাশা করেন রাজ্যপাল রেড্ডি।
উত্তর পূর্বাঞ্চলের অন্যান্য রাজ্যের সঙ্গে আসামের সংস্কৃতি ও সমৃদ্ধির সম্পর্ক ভবিষ্যতে আরও এগিয়ে যাবে বলে তিনি প্রত্যাশা করেন। আসাম দিবস উপলক্ষে, এদিন আসামের রাজ্যপাল লক্ষ্মন প্রসাদ আচার্যের এক বার্তা প্রচার করা হয়। অধ্যাপক, শিক্ষক, চিকিৎসক সহ বিভিন্ন পেশায় রাজ্যে কর্মরত প্রবাসী অহমিয়াদের মধ্যে ১৬ জনকে রাজ্যপাল উত্তরীয় ও প্রীতি উপহার দিয়ে সংবর্ধনা জানান। অনুষ্ঠানে আসাম নিবাসী ত্রিপুরা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপিকা ডঃ সিন্ধু পোডিয়াল, ত্রিপুরা ইকফাই বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিন ডঃ প্রিয়াংশু রঞ্জন বড়ঠাকুর আসাম রাজ্য প্রতিষ্ঠা ও আসামের সমৃদ্ধ কৃষ্টি সংস্কৃতির ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট তুলে ধরে বক্তব্য পেশ করেন। অনুষ্ঠানে স্বাগত ভাষণ দেন রাজ্যপালের সচিব ইউ কে চাকমা ।