আগরতলা, ২ ডিসেম্বর : শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের শিকার হয়ে স্বামীর বিরুদ্ধে থানায় লিখিত মামলা দায়ের করলো এক নির্যাতিতা গৃহবধূ।
জানা গিয়েছে গত ২০২০ সালে গোলাঘাটি বিধানসভার অন্তর্গত কাঞ্চনমালা এলাকার সরস্বতী সরকারের একমাত্র মেয়ে প্রিয়া সরকারকে কমলাসাগর বিধানসভার অন্তর্গত পাণ্ডবপুর সন্ন্যাসী পাড়া এলাকার চন্দ্রকান্ত দাসের ছেলে অভিজিৎ দাসের সাথে সামাজিক ভাবে বিয়ে দেয়। বিয়ের পর থেকেই ওই গৃহবধূর স্বামী অভিজিৎ দাস প্রিয়া সরকার এর উপর পনের জন্য শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন শুরু করে।
স্বামীর নির্যাতন সহ্য করেও রিয়া সরকার তার স্বামীর বাড়িতে থাকার চেষ্টা করেছিল কিন্তু এক সময় নির্যাতনের মাত্রা বেড়ে যাওয়া প্রিয়া সরকার তার মায়ের কাছে ফিরে আসতে বাধ্য হয়। এই ঘটনা চলাকালীন সময়ে প্রিয়া সরকারের মা সরস্বতী সরকার মারা যান তারপর থেকে নির্যাতিতা গৃহবধূ প্রিয়া সরকার একই এলাকার তার মামার বাড়িতে বসবাস করতে থাকে।
অবশেষে বাধ্য হয়ে নির্যাতিতা গৃহবধূ তার স্বামী অভিজিৎ দাসের বিরুদ্ধে গত আট মাস আগে আমতলী থানায় লিখিত আকারে মামলা দায়ের করেছিল। এই মামলার তদন্তের দায়িত্ব পড়ে মহিলা সাব ইন্সপেক্টর শোভারানী তেলির কাছে। কিন্তু এই মহিলা সাব ইন্সপেক্টর এই ঘটনাটিকে বধু নির্যাতনের মামলা গ্রহণ না করেই অভিযুক্ত স্বামী অভিজিৎ দাসকে বহাল তবিয়তে থাকার সুযোগ করে দেয়। পরে তদন্তকারী পুলিশ অফিসার শোভারানী তেলি বদলি হয়ে চলে যান বোধজং নগর থানায়। প্রথমবার মামলা করেও কোনো সুবিচার না পাওয়ায় অবশেষে নির্যাতিতা গৃহবধূ প্রিয়া সরকার পুনরায় আবার তার স্বামী অভিজিৎ দাসের বিরুদ্ধে আঞ্চলিক থানায় সোমবার বিকেলে লিখিত আকারে মামলা দায়ের করে।
পুলিশ এই যাত্রায় তাকে আশ্বস্ত করেছে বিষয়টি তারা অতি গুরুত্ব সহকারে দেখবে। এদিকে নির্যাতিতা গৃহবধূর প্রিয়া সরকার তার স্বামীর এই ধরনের কর্মকাণ্ডে আইনগতভাবে শাস্তির দাবি জানিয়েছে।