কৈলাসহর, ২৭ নভেম্বর : বাংলাদেশে ইসকনের প্রবক্তা চিন্ময় দাসকে গ্রেফতার তথা বাংলাদেশের সনাতনী হিন্দুদের উপর আক্রমনের প্রতিবাদে কৈলাসহরের ভারত বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক সীমান্তের মনু ল্যান্ড কাস্টমস প্রাঙ্গণে সনাতনী হিন্দুরা প্রতিবাদ কর্মসূচী পালন করেছে। আন্দোলনের জেরে বন্ধ রয়েছে সীমান্তের আমদানি রপ্তানি বাণিজ্য। যদিও বৈঠকের মাধ্যমে সীমান্ত এলাকা দিয়ে আমদানি রপ্তানি স্বাভাবিক করার চেষ্টা করেন ব্যবসায়ীরা। নাহলে ক্ষতির মুখ দেখতে হবে বলে দাবি তাদের।
এদিন আন্দোলনের নেতৃত্বে ছিলেন কৈলাসহর পুর পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান নীতিশ দে, বিজেপি কৈলাসহর মন্ডলের সভাপতি সিদ্ধার্থ দও, ঊনকোটি জেলার বরিস্ট আইনজীবী সন্দীপ দেবরায়, হিন্দু জাগরণ মঞ্চের ত্রিপুরা রাজ্যের সভাপতি উত্তম দে, সমাজসেবী বিধান দাস, দুলাল দাস, মিলন দাস সহ অন্যান্যরা।
প্রসঙ্গত, আজ সকাল এগারোটায় সনাতনী হিন্দুরা কৈলাসহরের ভারত বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক সীমান্তের পাশে অবস্থিত মনু ল্যান্ড কাস্টমস প্রাঙ্গণে একত্রিত হয়ে বাংলাদেশ সরকারের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে স্লোগান দিয়েছে। এরপর শহরের বিভিন্ন রাজপথে বিক্ষোভ মিছিল করেন তারা।
এদিকে, আন্দোলন চলাকালীন সময়ে কৈলাসহর পুর পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান নীতিশ দে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বলেন, চিন্ময় দাস প্রভুকে বাংলাদেশ সরকার সম্পূর্ণ অন্যায়ভাবে গ্রেফতার করে হয়রানি করছে। অবিলম্বে চিন্ময় দাস প্রভুকে নিঃশর্তে মুক্তি দেওয়ার দাবি এবং মুক্তি দেওয়ার আগে অবধি সনাতনী হিন্দুদের আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার অনুরোধ করেন তিনি। ভাইস চেয়ারম্যান নীতিশ দে স্থানীয়দের সহযোগিতায় কৈলাসহরের বর্ডার এর সম্মুখে একটি অস্থায়ী গেট তৈরি করেন এবং প্রধানমন্ত্রী মোদি নিকট বাংলাদেশে সমস্ত আমদানি রপ্তানি বন্ধ করে দেওয়ার দাবি জানান। বাংলাদেশে হিন্দুদের উপর আক্রমণ বন্ধ না করা অবধি বাংলাদেশে আমদানি রপ্তানি বন্ধ করে দেওয়ার জন্য অনুরোধ করেন তিনি।
প্রসঙ্গত, আজকের এই কর্মসূচিতে রেকর্ড সংখ্যক সনাতনী হিন্দুরা উপস্থিত ছিলেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে কৈলাসহরের মহকুমা পুলিশ অফিসার জয়ন্ত কর্মকারের নেতৃত্বে প্রচুর পুলিশ, টি.এস.আর এবং বি.এফ.এফ জওয়ানরা উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে এই আমদানি রপ্তানি বন্ধ রাখার সিদ্ধান্তে সমস্যায় পড়েন স্থানীয় আমদানি রপ্তানি ব্যবসায়ীরা। তারা প্রশাসনের উচ্চ পদস্থ আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠকে মিলিত হয়েছেন বুধবার বিকেলে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত বুধবার বন্ধ ছিল কৈলাসহর সীমান্ত দিয়ে আমদানি রপ্তানি। প্রশাসনের তরফ থেকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখার চেষ্টা করা হচ্ছে। আন্দোলনকারীদের সঙ্গে সমঝোতা করে ব্যবসায়ীরা আদৌ সীমান্ত এলাকা দিয়ে কবে নাগাদ আমদানি রপ্তানি পুনরায় শুরু করতে পারবেন তা নিয়ে চিন্তিত ব্যবসায়ী মহল। সীমান্ত এলাকা দিয়ে আমদানি রপ্তানি বন্ধ থাকলে লোকসান পোহাতে হবে বলে দাবি ব্যবসায়ী মহলের।