BRAKING NEWS

৬৬ শতাংশেরও অধিক বৈদ্যুতিকীকরণ সম্পন্ন উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ের, ত্রিপুরায় ১৫১.৫৮ আরকেএম

মালিগাঁও, ২৭ নভেম্বর : ১০০% বৈদ্যুতিকীকরণ এবং শূন্য কার্বন নির্গমন অর্জন করার ভারতীয় রেলওয়ের অভিলাষী লক্ষ্যের অংশ হিসেবে উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ে (এনএফআর) তার বৈদ্যুতিকীকরণ অভিযানে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অব্যাহত রাখতে সক্ষম হয়েছে। ২০২৪-এর নভেম্বর পর্যন্ত উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ে মোট ২,৮২৭.৭৪ রুট কিলোমিটার (আরকেএম)-এর সফল বৈদ্যুতিকীকরণ সম্পূর্ণ করেছে, এটি নির্ধারিত লক্ষ্য ৪২৬০.৫২ আরকেএম-এর ৬০ শতাংশেরও বেশি, যা তার রেল নেটওয়ার্কের আধুনিকীকরণের ক্ষেত্রে বার্ষিক অগ্রগতির দ্রুত প্রতিফলন।

মোট লক্ষ্যের প্রতি লামডিং (৯৮৬.৭৬ আরকেএম), কাটিহার (৭৪৭.১২ আরকেএম), আলিপুরদুয়ার (৬১৮.৭৫ আরকেএম), রঙিয়া (৪৩৩.৮ আরকেএম) এবং তিনসুকিয়ার (৪১.৩১ আরকেএম) অবদানের সাথে উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ের বিভিন্ন ডিভিশনজুড়ে বৈদ্যুতিকীকরণ সম্পন্ন হয়েছে। উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ে অধিক্ষেত্রের রাজ্যগুলির মধ্যে ১,৪০১.৪৬ আরকেএম-এর সাথে অসমের স্থান শীর্ষে রয়েছে, এরপর রয়েছে যথাক্রমে পশ্চিমবঙ্গ (৯৩৫.৯৪ আরকেএম), বিহার (৩১৮.৮৭ আরকেএম) এবং ত্রিপুরা (১৫১.৫৮ আরকেএম)। মেঘালয়, মিজোরাম, নাগাল্যান্ড এবং মণিপুরের মতো রাজ্যগুলিতেও বৈদ্যুতিকীকরণের পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে, যা উত্তর পূর্বাঞ্চলে অন্তর্ভুক্তিমূলক পরিকাঠামোর উন্নয়নের দিকে উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ের প্রতিশ্রুতিরই প্রদর্শন করে।

গত অর্থবর্ষে ৯২১.৬২ আরকেএম বৈদ্যুতিকীকরণসহ ইতিমধ্যে চলতি বর্ষের নভেম্বর ২০২৪ পর্যন্ত অতিরিক্ত ২৪৪.৬ আরকেএম বৈদ্যুতিকীকরণ সম্পন্ন হয়েছে। সবুজ ও আরও অধিক উন্নত নেটওয়ার্কের লক্ষ্যে উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ের পক্ষ থেকে ২০২৪-২৫ অর্থবর্ষে ১,৫৭৩ আরকেএম বৈদ্যুতিকীকরণের লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে, যার ফলে মোট ৪২৬০.৫২ আরকেএম বৈদ্যুতিকীকরণের পরিকল্পনাও যথেষ্ট পরিমাণে অগ্রগতি লাভ করেছে।

বৃহৎ মাত্রার বৈদ্যুতিকীকরণের এই প্রকল্পটি ইন্ডিয়ান রেলওয়ে কনস্ট্রাকশন ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেড (ইরকন), রেল ইন্ডিয়া টেকনিক্যাল অ্যান্ড ইকোনমিক সার্ভিস (রাইট্¬স) এবং এনএফআর/কনস্ট্রাকশন সহ শীর্ষস্থানীয় এজেন্সিগুলির দ্বারা সম্পাদন করা হচ্ছে। এই বৈদ্যুতিকীকরণ প্রকল্পটি সম্পূর্ণ হলে পরিবেশ অনুকূল ও দক্ষ শক্তির রেল পরিচালন সহ একাধিক সুবিধা পাওয়া যাবে বলে আশা করা হয়েছে। এই প্রকল্পটি অপরিশোধিত তেলের উপর নির্ভরশীলতা হ্রাস করার পাশাপাশি বাধাহীন ট্র্যাকশনের জন্য ট্রেনের সময়ানুবর্তিতা ও গতিবেগ বৃদ্ধি করবে।
উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ে সমগ্র এই অঞ্চলের জন্য আধুনিক, দক্ষ ও সবুজ পরিবহণ নেটওয়ার্ক প্রদানের অভিযানে একনিষ্ঠ ভূমিকা পালন করছে এবং অর্থনৈতিক বিকাশ, সুস্থির পরিবেশ ও দেশের অবশিষ্ট অংশের সাথে উত্তর পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলির দূরবর্তী অঞ্চলের উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থা স্থাপনের বৃহত্তর লক্ষ্যে সাহায্য করছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *