আগরতলা, ২৭ নভেম্বর: ফুল এবং অর্কিড চাষে কৃষকদেরকে আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী করাই সরকারের একমাত্র লক্ষ্য। আজ প্রজ্ঞা ভবনে এক দিবসীয় অর্কিড ট্রেনিং প্রোগ্রাম এবং চাষের জন্য চারা সমেত সামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে একথা বলেন কৃষি মন্ত্রী রতন লাল নাথ।
এদিন শ্রীনাথ বলেন, হর্টিকালচার ডিপার্টমেন্ট এবং রিসার্চ সেন্টার এর যৌথ উদ্যোগে এই আয়োজনে ব্যাপক সংখ্যক কৃষকরা অংশগ্রহণ করেছেন। অনুষ্ঠানে উপস্থিত থেকে লাভজনক এই চাষে এগিয়ে আসার জন্য কৃষকদের কে অনুরোধ জানিয়েছেন।
এদিন তিনি বলেন, রাজ্যে অর্কিড চাষ যেন আরো ব্যাপকভাবে করা যায় সেই লক্ষ্যে বিশেষ প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়। এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ৩০০ জনকে ৪০ টি করে অর্কিড চারা এবং সামগ্রী ও তুলে দেওয়া হয়েছে।
মন্ত্রী শ্রীনাথ দাবি করেন যে, রাজ্যে কর্মসংস্থানের যথেষ্ট সুযোগ রয়েছে, তাই বেকারত্ব থাকার প্রশ্নই আসে না। “সরকারের মূলমন্ত্র হল ‘আত্মনির্ভর ত্রিপুরা’, ‘স্বয়ম্বর ত্রিপুরা’ এবং ‘কৃষকের আয় দ্বিগুণ’। ২০১৮ সালের আগে একজন কৃষকের আয় ছিল ৬৫৮০ টাকা যেখানে ২০২৩-২৪ অর্থবছরে বেড়ে ১৩৫৯০ টাকা হয়েছে। ২০১৮ সালের আগে মাথাপিছু আয় ছিল ১ লাখ ৪৪৪ টাকা এবং এখন তা ১,৫৯,৪১৯ টাকা।
মন্ত্রী আরো বলেন, উৎপাদন বাড়ানোর জন্য ‘মালচিং’, ‘টিস্যু কালচার’ প্রযুক্তির মতো নতুন প্রযুক্তি গ্রহণ করা হচ্ছে। বুধবার এই কর্মসূচির মাধ্যমে মোট ৩০০ জন কৃষককে ৪০টি অর্কিডের চারা বিতরণ করা হয়েছে এবং ১২০০০টি চারার জন্য ৩৫লাখ টাকা খরচ হবে। ত্রিপুরায় একটি মিশ্র পরিবেশ রয়েছে এবং প্রচুর অর্কিড চাষের জন্য উপযুক্ত। বর্তমানে, ত্রিপুরার অনেক যুবক আয় বৃদ্ধির জন্য ফুল চাষ করছেন।
উদ্যানপালনের উন্নয়নে কিছু পরিসংখ্যান উদ্ধৃত করে মন্ত্রী স্ত্রী নাথ বলেন, “২০১৭-১৮ সালে ৭০ হেক্টর জমিতে গাঁদা চাষ করা হয়েছিল এবং এখন ২০৮ হেক্টর জমিতে চাষ করা হচ্ছে। ২০১৭-১৮সালে ২৭ হেক্টর জমিতে রজনীগন্ধা চাষ করা হয়েছিল এবং বর্তমানে ৪৭ হেক্টর জমিতে চাষ করা হচ্ছে। গোলাপ ২ হেক্টরে উত্পাদিত হয়েছিল এবং এখন এটি ১৮ হেক্টর জমিতে চাষ করা হয়। বর্তমানে সিপাহীজলা জেলার বিশালগড়, গোমতি জেলার মাতাবাড়ি ও কাকড়াবন, পশ্চিম ত্রিপুরা জেলার ডুকলি ও বামুটিয়া ইত্যাদিতে ফুলের গুচ্ছ রয়েছে। এছাড়া ১২৬টি স্থানে অ্যান্থুরিয়াম ফুল, ১৩০টি স্থানে অর্কিড, ৪৭টি স্থানে জারবেরা ফুলের চাষ হয়।