আগরতলা, ১৯ নভেম্বর: লাকড়ি সংগ্রহ করতে গিয়ে জঙ্গল থেকে নিখোঁজ গৃহবধূর মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছিল। ওই ঘটনায় পুলিশ নিহতের কাকা শ্বশুরকে গ্রেফতার করেছে। ওই ঘটনাকে ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে গোটা সাব্রুম মহকুমা এলাকা জুড়ে।
ঘটনার বিবরণে জানা গিয়েছে, গত চার বছর পূর্বে সুন্দরম ত্রিপুরার সাথে বৈবাহিক বন্ধনে আবদ্ধ হয় হরিদাস চৌধুরীপাড়া এলাকার জনজাতি যুবক তপন জয় ত্রিপুরার। বর্তমানে তাদের দুই বছরের সন্তান রয়েছে। গত রবিবার বাড়ির সকলের মধ্যাহ্নভোজের পর সুন্দরম ত্রিপুরা বেরোয় পাহাড় থেকে লাকড়ি সংগ্রহ করার জন্য। কিন্তু বিকেল গড়িয়ে সন্ধ্যা হয়ে গেলেও বাড়ি ফেরার নাম নেই সুন্দরমের। অবশেষে তার বাড়ির লোক সহ এলাকাবাসী সুন্দরমকে খুঁজতে বেরিয়েছিলেন। ওই দিন আনুমানিক সন্ধ্যা ৭টা নাগাদ বাড়ি থেকে আধ কিলোমিটার দূরে এক জুমের খেতে পাহাড় থেকে প্রায় ১০০ মিটার নিচে সুন্দরমের দেহ খুঁজে পায়। সাথে সাথে তাঁরা সাব্রুমের মনু থানার পুলিশকে খবর দিয়েছেন। মনু থানার পুলিশ তৎক্ষণাৎ বিশাল পুলিশ বাহিনী নিয়ে এবং সাব্রুম মহকুমার পুলিশ আধিকারিক নিত্যানন্দ সরকার সহ ঘটনাস্থলে পৌঁছায়।
আরও জানা গিয়েছে, সুন্দরম ত্রিপুরার ডান দিকের কপালে তিনটি ভারী আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তাছাড়া, গাল এবং বুকে রয়েছে নখের আঁচড়। গোটা ঘটনা পরিলক্ষিত করে সাব্রুম মহকুমা পুলিশ আধিকারিক নিত্যানন্দ সরকার খবর দেন ফরেনসিক টিম এবং ডগ স্কোয়ার্ডকে। সোমবার পুলিশ আধিকারিক নিত্যানন্দ সরকার একটি স্পেশাল দল গঠন করে গোটা ঘটনার তদন্তে নামেন। তদন্তে নেমে পুলিশ সুন্দরমের হাতে ব্যবহার করা একটি তাবিজ এবং ঘটনাস্থলে কিছুটা আগে কয়েকটি গাছের পাতায় রক্তের দাগের সন্ধান বের করতে সক্ষম হন।
এদিকে এলাকাবাসীদের মধ্যে চাপা গুঞ্জন সুন্দর কাকাই শ্বশুরের সাথে ছিল সুন্দরমের অবৈধ সম্পর্ক। এবং সে দু মাসের গর্ভবতী বলেও জানা যায়। এদিকে পুলিশ সুন্দরমের স্বামীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে গিয়েছিল। জিজ্ঞাসাবাদের উঠে আসে নিহত মহিলার কাকা শ্বশুর সুনীল ত্রিপুরার নাম। যার সাথে অবৈধ সম্পর্ক ঘিরে মাস খানেক আগে এলাকায় বসেছিল সালিশি সভা। পুলিশ কাকা শ্বশুর সুনীল ত্রিপুরাকে গ্রেফতার করেন। আজ তাকে আদালতে প্রেরণ করা হবে।