নয়াদিল্লি, ১৯ নভেম্বর : সংবাদ মাধ্যমের প্রতিনিধিদের জন্য কেন্দ্রীয় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রকের প্রেস ইনফরমেশন ব্যুরো (পিআইবি) পুনের ফিল্ম অ্যাণ্ড টেলিভিশন ইনস্টিটিউট অফ ইণ্ডিয়া(এফটিআইআই)-র সঙ্গে যৌথভাবে ‘চলচ্চিত্র পর্যালোচনা: সমালোচনা থেকে চলচ্চিত্র পাঠ’ শীর্ষক এক ফিল্ম অ্যাপ্রিসিয়েশন কোর্সের আয়োজন করলো। গোয়ায় ভারতের পঞ্চান্নতম আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব (আইএফএফআই)-র মূল পর্বের পাশাপাশি উৎসবের খবর করতে আসা সাংবাদিকদের জন্য এই প্রশিক্ষণ কর্মসূচি পরিচালিত হয়। চলচ্চিত্রের শিল্পকলা ও কারুকৃতি সংক্রান্ত বিভিন্ন দিক উন্মোচনের পাশাপাশি তথ্যসমৃদ্ধভাবে চলচ্চিত্র পাঠের শিক্ষায় গুরুত্ব প্রদানের লক্ষ্যেই এই আয়োজন। এইপ্রশিক্ষণ পরিচালনায় ছিলেন পুনের এফটিআইআই এর ডক্টর ইন্দ্রনীল ভট্টাচার্য, অধ্যাপক অম্লান চক্রবর্তী এবং মালিনী দেশাইয়ের মতো চলচ্চিত্র বিশেষজ্ঞরা।
এই প্রশিক্ষণে চলচ্চিত্র বিশ্লেষণের মূল নীতির সঙ্গে শৈল্পিক উপাদান হিসেবে সম্পাদনা, নাটকীয় উপাদান হিসেবে আলোকসজ্জা এবং ফিল্ম অ্যাপ্রিসিয়েশনে যে শুধুমাত্র প্রশংসা নয়, চলচ্চিত্র উপলব্ধিরও বিষয় – এমন গুচ্ছ বিষয়ে আলোকপাত করে অংশগ্রহণকারীদের সামনে তুলে ধরা হয়। বিশেষ করে ২০২৫ -র অস্কারে গভীর সামাজিক তাৎপর্যবাহী ছবি ‘লাপাতা লেডিজ’কে ভারতের প্রধান প্রতিনিধিত্বকারী ছবি হিসেবে বেছে নেওয়ার বিষয়েও আলোচনা করেন বিশেষজ্ঞরা। স্বল্পদৈর্ঘের চলচ্চিত্রের বিভিন্ন দিক নিয়েও আলোকপাত করা হয়।
প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণকারী সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিদের ধন্যবাদ জানান এনএফডিসির ম্যানেজিং ডিরেক্টর প্রিতুল কুমার। চলচ্চিত্র প্রোৎসাহনে সংবাদমাধ্যমের তাৎপর্যপূর্ণ সক্রিয় ভূমিকা তুলে ধরেন তিনি। এই কোর্স চলচ্চিত্র জগতকে যথাযথ উপলব্ধি এবং লেখালেখিতে সাহায্য করবে বলেও তিনি আশা ব্যক্ত করেন।
এই প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠানে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রকের পশ্চিমাঞ্চলীয় মহানির্দেশক স্মিতা ভাটস শর্মা বলেন, এই কোর্স গোয়ার পাশাপাশি সারাদেশের সাংবাদিকদের জন্যই উন্মুক্ত ছিলো। চলচ্চিত্র উৎসবে সংবাদমাধ্যমের জটিল ভূমিকার কথা তুলে ধরার পাশাপাশি তিনি এফটি আইআইকে এই প্রশিক্ষণ বাস্তবায়িত করায় সহায়তার জন্য ধন্যবাদ জানান।
পিআইবি মুম্বাইয়ের যুগ্ম অধিকর্তা সঈদ রাবী হাসমি চলচ্চিত্র উদযাপনের সঙ্গে এর বিস্তারিত বিবরণ তুলে ধরার ব্যাপারে গুরুত্বারোপ করেন। প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণকারী সাংবাদিকরাও এই আয়োজনের ব্যাপক প্রশংসা করেন। চলচ্চিত্র সম্পর্কে গভীর উপলব্ধিতে এই প্রশিক্ষণ সাহায্য করবে বলে অভিমত ব্যক্ত করেন তাঁরা। এই প্রশিক্ষণের সমাপ্তি পর্বে অংশগ্রহণকারী তিরিশজনের বেশি সাংবাদিককে নিজেদের উপলব্ধি সম্প্রসারিত করতে এই প্রয়াসে অংশীদার হওয়ার স্বীকৃতি হিসেবে শংসাপত্র তুলে দেওয়া হয়।