কলকাতা, ২৯ অক্টোবর (হি.স.): বুধবার মারাদোনার ৬৪তম জন্মদিন। ১৯৬০ সালের ৩০ অক্টোবর আর্জেন্টিনার লানুস শহরে জন্মগ্রহণ করেন বিশ্বকাপজয়ী এই তারকা। ২০২০ সালের ২৫ নভেম্বর মারা যান ফুটবল ইতিহাসের অন্যতম এই তারকা।
মাত্র ষোল বছর বয়সে ক্লাব ফুটবলে পা রাখেন মারাদোনা। নিজ শহরের ক্লাব আর্জেন্টিনোস জুনিয়র্সের হয়ে অভিষেক হয়। দুই দশকের কেরিয়ারে তিনি ক্লাব পরিবর্তন করেছেন ছয় বার। আর্জেন্টিনোস জুনিয়র্সের হোম গ্রাউন্ডটি মারাদোনার নামেই নামকরণ করা হয়েছে।
সর্বকালের অন্যতম সেরা এই তারকা ১৯৮২ বিশ্বকাপে প্রথম আর্জেন্টিনার হয়ে খেলেন। যদিও ব্রাজিলের বিপক্ষে লাল কার্ড খেয়ে সেবারের আসর শেষ হয়। ১৯৮৬র বিশ্বকাপে নিজেকে বিশ্বসেরা প্রমাণ করেন মারাদোনা। সেবার অনেকটা একাই পায়ের জাদুতে আর্জিন্টিনাকে বিশ্বকাপ জেতান আর্জেন্টাইন এই কিংবদন্তি। সেবার বিশ্বকাপে জিতেছেন সেরা খেলোয়াড়ের তকমাও। তাছাড়া ১৯৮৬–র বিশ্বকাপে তিনি স্মরণীয় আছেন অন্য একটি কারণে। কারণ এই বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে আর্জেন্টাইন গ্রেটের গোলটি তার বাঁ হাতের মুঠি থেকে ইংলিশদের জালে যায়। এটি “ঈশ্বরের হাত” হিসাবে পরিচিত হয়ে আছে।
পরের ১৯৯০ বিশ্বকাপেও সামর্থ্যের প্রমাণ দিয়েছেন মারাদোনা। ব্যক্তিগত নৈপুণ্যে দলকে তুলেছিলেন শিরোপার মঞ্চে। তবে নিজের দ্বিতীয় বিশ্বকাপটা অবশ্য জেতা হয়নি মারাদোনার।
১৯৯৪ বিশ্বকাপ। সেবার বিশ্বকাপ চলাকালীন মারাদোনার শরীরে বলবর্ধক ওষুধের উপস্থিতি খুঁজে পায় ফুটবলের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা ফিফা। যার ফলে আসরের মাঝপথেই আমেরিকার বিশ্বকাপ থেকে বিদায় নিতে হয়েছিল মারাদোনাকে। ফলে ১৫ মাসের নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে ফিরলেও স্বাভাবিক ছন্দে আর দেখা যায়নি তাকে। ২০ বছরের আন্তর্জাতিক ও ক্লাব ক্যারিয়ারে আর্জেন্টাইন এই মহাতারকা মোট গোল করেছেন মোট ৩৪৬টি।
ব্যক্তিগতভাবে, মারাদোনা বেশ কিছু পুরস্কার জয়লাভ করেছেন, যার মধ্যে ১৯৮৬ সালে গোল্ডেন বল এবং ১৯৯০ সালে ব্রোঞ্জ বল জয় অন্যতম। এছাড়াও তিনি ২০০০ সালের ডিসেম্বর মাসে প্রকাশিত ফিফা শতাব্দীর সেরা খেলোয়াড়ের (পেলের সাথে যৌথভাবে) খেতাব অর্জন করেছেন।