BRAKING NEWS

ত্রিপুরা শান্তিনিকেতন মেডিকেল কলেজ ও প্রস্তাবিত হাসপাতালের তদারকি করবে স্বাস্থ্য দপ্তর 

আগরতলা, ২৬ অক্টোবর:  ন্যাশনাল মেডিকেল  কমিশনের নিয়ম মেনে ত্রিপুরা শান্তিনিকেতন মেডিকেল কলেজ এবং পশ্চিম ত্রিপুরা জেলার মধুবনস্থিত রাণীরখামারে  কলেজের সঙ্গে সংযুক্ত  প্রস্তাবিত হাসপাতালের পরিকাঠামো এবং উন্নয়নমূলক কাজকর্ম , পঠন পাঠন,  হাসপাতাল স্থাপন এবং রোগীদের পরিষেবা প্রদান, ইত্যাদি বিষয়গুলি খতিয়ে দেখার জন্য  স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ দপ্তর, ত্রিপুরা সরকারের  উদ্যোগে একটি উচ্চ পর্যায়ের কমিটি গঠন করা হয়েছে। 

ত্রিপুরা শান্তিনিকেতন মেডিকেল কলেজ ও প্রস্তাবিত হাসপাতালের অগ্রগতি  খতিয়ে দেখতে উচ্চপর্যায়ের এই কমিটি গঠনের সুফল নিম্নরূপ। এই কমিটি ত্রিপুরা সরকার ও ত্রিপুরা শান্তিনিকেতন মেডিকেল কলেজ কর্তৃপক্ষের মধ্যে সামগ্রিক বিষয়ে সেতুবন্ধ হিসেবে  কাজ করবে। ন্যাশনাল মেডিকেল কমিশনের  নির্দেশিকা অনুসারে এই প্রতিষ্ঠানের পরিকাঠামো উন্নয়নের  বিষয় খতিয়ে দেখা , নজরদারি রাখা এবং এমবিবিএস পাঠ্যক্রমের গুণমান বজায় রেখে তাকে বাস্তবায়ন করার বিষয়ে প্রয়োজনীয় পরামর্শ প্রদান করবে।

তাছাড়া, ওই কমিটি দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আগত এবং রাজ্যের এমবিবিএস পাঠরত ছাত্রছাত্রীদের কল্যাণে সামগ্রিক  বিষয়ে নজরদারি রাখবে। মধুবনের রাণীরখামারে সংযুক্ত টিচিং হাসপাতালের নির্মাণ এবং প্রয়োজনীয় পরিকাঠামো নির্মাণ সংক্রান্ত  বিষয়ে এই কমিটির পর্যায়ক্রমিক পরিদর্শন, মূল্যায়ন, পরামর্শ অবশ্যই ত্রিপুরায় একটি স্বনামধন্য  টারশিয়ারি কেয়ার হাসপাতাল প্রতিষ্ঠায় সাহায্য করবে। পাশাপাশি,  রোগীদের কল্যাণ এবং কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকারের বিভিন্ন স্কিম, স্বাস্থ্য বীমা যেমন পিএম-জিএওয়াই, সিএম-জিএওয়াই ইত্যাদির কার্যকরি বাস্তবায়নেও উল্লিখিত কমিটি  যত্নবান  থাকবে।

এই কমিটিতে রয়েছেন স্বাস্থ্য অধিকারের অধিকর্তা, স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিকারের অধিকর্তা, আগরতলা গভর্নমেন্ট মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ,  ত্রিপুরা মেডিকেল কলেজ এন্ড ডঃ বিআরএএম  টিচিং হাসপাতালের অধ্যক্ষ, আগরতলা গভর্নমেন্ট ডেন্টাল কলেজের অধ্যক্ষ, পি ডব্লিউ ডি এর আগরতলা সার্কেলের সুপারিনটেন্ডিং ইঞ্জিনিয়ার, স্বাস্থ্য অধিকারের একাউন্টস অফিসার  । এই কমিটি ৩০ দিনের মধ্যে প্রাথমিক রিপোর্ট জমা দেবে এবং   ত্রিপুরা  শান্তিনিকেতন মেডিকেল কলেজে এমবিবিএস কোর্সের চূড়ান্ত অনুমোদন ন্যাশনাল মেডিকেল কমিশন  কর্তৃক দেওয়া পর্যন্ত প্রতি ছয় মাস অন্তর রিপোর্ট জমা দেবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *