হরিশ্চন্দ্রপুর, ২৬ অক্টোবর (হি. স.) : ভিনরাজ্যে কাজে গিয়ে মৃত্যু হয় মালদার হরিশ্চন্দ্রপুরের এক পরিযায়ী শ্রমিকের। শনিবার সকালে ভিনরাজ্য থেকে ওই শ্রমিকের দেহ গ্রামে এসে পৌঁছায়। কিন্তু গ্রামে ফিরলেও তাঁর দেহ নিতে নারাজ পরিবারের লোকজন সহ গ্রামবাসীরা। তাঁদের দাবি, ক্ষতিপূরণ না পেলে তাঁরা দেহ গ্রহণ করবেন না।
জানা গিয়েছে, মৃত পরিযায়ী শ্রমিকের নাম অশোক মণ্ডল (৪৩)। বাড়ি হরিশ্চন্দ্রপুর-২ ব্লকের ভালুকা গ্রাম পঞ্চায়েতের কালীতলা গ্রামে। দুমাস আগে অসমের গুয়াহাটিতে নির্মাণ শ্রমিকের কাজ করতে গিয়েছিলেন তিনি। সেখানেই বৃহস্পতিবার রাতে তাঁর মৃত্যু হয়। এরপর ওই নির্মাণকারী সংস্থার তরফে অশোকের দেহ ময়নাতদন্ত করিয়ে অ্যাম্বুলেন্সে করে হরিশ্চন্দ্রপুরে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।
এদিকে অশোকের দেহ গ্রামে ফিরতেই বিক্ষোভ দেখান স্থানীয়রা। তাঁদের দাবি, অশোক মণ্ডল পরিবারের একমাত্র রোজগেরে সদস্য ছিলেন। তাঁর বাড়িতে স্ত্রী, বিধবা মা এবং দুই ছেলে রয়েছে। এমনকি কীভাবে মৃত্যু হয়েছে অশোকের সে ব্যাপারে বিশদে কিছু জানায়নি ওই সংস্থা। অভিযোগ, ক্ষতিপূরণ ছাড়াই ময়নাতদন্ত করে দেহ পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে পরিবারটি আগামীতে কীভাবে চলবে তা অনিশ্চিত। তাই এদিন ক্ষতিপূরণের দাবিতে মৃতদেহ ঘিরে বিক্ষোভ দেখানো হয়। এমনকি মৃতদেহ গ্রহণ করতে অস্বীকার করে পরিবার এবং গ্রামবাসীরা। অবিলম্বে অশোকের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেওয়া না হলে এ বিষয়ে পুলিশের দ্বারস্থ হবেন বলেও জানান তাঁরা। এদিন দীর্ঘক্ষণ মৃত পরিযায়ী শ্রমিকের দেহ অ্যাম্বুলেন্সেই পড়ে থাকে। ঘটনার জেরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে হরিশ্চন্দ্রপুর ভালুকা এলাকায়।