আগরতলা, ২৬ অক্টোবর: গ্রামীন এলাকার অর্থনীতির বিকাশে বিভিন্ন ক্ষেত্রের অসংগঠিত শ্রমিকদের উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রয়েছে। রাজ্যের জিডিপি বৃদ্ধির ক্ষেত্রেও একটা বিশেষ ভূমিকা রাখেন তারা। আসন্ন দীপাবলি উৎসব উপলক্ষে শনিবার রাজধানী সংলগ্ন নন্দননগর এলাকায় কুমোর পাড়া পরিদর্শনে গিয়ে একথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর ডাঃ মানিক সাহা।
সংবাদ মাধ্যমের সঙ্গে সাক্ষাতে মুখ্যমন্ত্রী ডাঃ সাহা বলেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বারবার বলছেন আত্মনির্ভর হওয়ার জন্য। ত্রিপুরাকে আত্মনির্ভর করার লক্ষ্যে বিভিন্ন প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। গত বছর এবং এরআগের বছরেও আমি এখানে এসেছি। এখানকার কুমোরপাড়ায় ২/৩টি বাড়িতে আমি গিয়েছি। দীপাবলিকে সামনে রেখে আধুনিক পদ্ধতিতে এখন মাটির প্রদীপ বানাচ্ছেন তারা। আগে কুমোরপাড়ার মৃৎ শিল্পীরা হাতে তৈরী করে মাটির জিনিষপত্র বিক্রি করতেন। আর এখন তারা মেশিনের সাহায্যে বিভিন্ন সামগ্রী তৈরী করছেন। আমি এখানে এসে অত্যন্ত খুশি এবং দীপাবলির জন্য প্রদীপ সহ আনুষাঙ্গিক জিনিসপত্র নিই তাদের কাছ থেকে।
প্রধানমন্ত্রীর চিন্তাভাবনা ও আদর্শকে সামনে রেখে আমরা কাজ করছি। আমাদের লক্ষ্য এক ত্রিপুরা শ্রেষ্ঠ ত্রিপুরা, এক ভারত শ্রেষ্ঠ ভারত। গতকালও পিএম বিশ্বকর্মা যোজনার প্রদর্শনীতে অংশগ্রহণ করে আমি বলেছি অসংগঠিত শ্রমিকদের গ্রামীণ অর্থনীতির বিকাশে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রয়েছে। আজ তারা খুব খুশি। তাদের মুখে হাসি ফুটছে। জিডিপি হার বৃদ্ধিতে তাদের একটা বিশেষ ভূমিকা রয়েছে। এর পাশাপাশি আসন্ন দীপাবলি উৎসব উপলক্ষে রাজ্যবাসীর উদ্দেশ্যে শুভেচ্ছা জ্ঞাপন করেন মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর ডাঃ মানিক সাহা।