নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ২৪ অক্টোবর: আজকের ছাত্রছাত্রীরা আগামীদিনের ভবিষ্যৎ। এই ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে সুস্থ রাখার জন্য সরকার আন্তরিক। রাজ্যে শূন্য থেকে ১৯ বছর বয়সের শিশু এবং কিশোর ও কিশোরীদের স্বাভাবিক বিকাশের লক্ষ্যেই মুখ্যমন্ত্রী মুখ্যমন্ত্রী সুস্থ শৈশব, সুস্থ কৈশোর অভিযানের সূচনা হয়েছে। আজ ধলাই জেলার আমবাসা টাউনহলে মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর (ডা.) মানিক সাহা রাজ্যভিত্তিক মুখ্যমন্ত্রী সুস্থ শৈশব, সুস্থ কৈশোর অভিযান ৭.০ কর্মসূচির উদ্বোধন করে একথা বলেন। অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, স্বাস্থ্য যদি ঠিক না থাকে তাহলে ছাত্রছাত্রীদের স্বাভাবিক বিকাশ ব্যাহত হবে। শিশু এবং কিশোর কিশোরীরা যদি সুস্থ থাকে তবে তাদের পঠন পাঠনও সঠিকভাবে হবে।
অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর (ডা.) মানিক সাহা আরও বলেন, রাজ্যের ১১ লক্ষ ৩৬ হাজার শিশু এবং কিশোর ও কিশোরীদের এই অভিযানের আওতায় আনা হবে। গত বছর মুখ্যমন্ত্রী সুস্থ শৈশব, সুস্থ কৈশোর অভিযান ৬.০ কর্মসূচিতে ৯৭.৯৭ শতাংশ শিশু এবং কিশোর ও কিশোরীদের আনা হয়েছিল। এই অভিযানে ০-১৯ বছর বয়সী শিশু এবং কিশোর ও কিশোরীদের সুস্বাস্থ্য ১০০ শতাংশ সুনিশ্চিত করতে ক্রিমিনাশক ওষুধ, আয়রন ও ফলিক অ্যাসিড পরিপূরক, ভিটামিন এ ট্যাবলেট, টিটেনাস ও ডিপথেরিয়া টিকাকরণ সহ প্রায় ১২টি স্বাস্থ্য পরিষেবা দেওয়া হবে। স্বাস্থ্যকেন্দ্র ছাড়াও বিদ্যালয়, মহাবিদ্যালয়, চা বাগান, অনাথ আশ্রম থেকে শুরু করে বাড়ি বাড়ি গিয়ে স্বাস্থ্যকর্মীগণ এই অভিযান সফল করে তুলবেন।
অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, উন্নত চিকিৎসার জন্য এখন বহিরাজ্যে যাওয়ার প্রয়োজন নেই। রাজ্যেই সব ধরনের স্বাস্থ্য পরিষেবা রয়েছে। রাজ্যের স্বাস্থ্য পরিষেবার উপর মানুষকে আস্থা রাখতে হবে। ডোনার মন্ত্রণালয় থেকে রাজ্যের জন্য স্বাস্থ্য পরিকাঠামোর উন্নয়ন ও উন্নত স্বাস্থ্য পরিষেবা সম্প্রসারণে ৫১৫ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। সবাইকে স্বাস্থ্য বীমার আওতায় আনার জন্য আয়ুষ্মান ভারত-প্রধানমন্ত্রী জন আরোগ্য যোজনার পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রী জন আরোগ্য যোজনা চালু করা হয়েছে। তিনি বলেন, ধলাই জেলা হচ্ছে অ্যাসপিরেশনাল ডিস্ট্রিক্ট। ধলাই জেলার সার্বিক বিকাশে বাজেটে প্রতি বছর ১০ থেকে ১৫ শতাংশ অর্থ বেশি দেওয়া হয়।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ধলাই জিলা পরিষদের সভাধিপতি সুস্মিতা দাস, বিধায়ক চিত্তরঞ্জন দেববর্মা, আমবাসা বিএসির চেয়ারম্যান পরিমল দেববর্মা, স্বাস্থ্য দপ্তরের সচিব কিরণ গিত্যে, ধলাই জেলার জেলাশাসক সাজু বাহিদ এ, স্বাস্থ্য দপ্তরের অধিকর্তা ডা. সঞ্জীব কুমার দেববর্মা, ধলাই জেলার পুলিশ সুপার অবিনাশ রাই, সমাজকল্যাণ ও সমাজশিক্ষা দপ্তরের অধিকর্তা তপন কুমার দাস, জাতীয় স্বাস্থ্য মিশনের মিশন অধিকর্তা ড. সমিত রায় চৌধুরী প্রমুখ। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন আমবাসা পুরপরিষদের চেয়ারপার্সন গোপাল সূত্রধর। স্বাগত বক্তব্য রাখেন মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ড. অ্যাপেলো কলই।