BRAKING NEWS

শেল্টার হোম থেকে নিখোঁজ যুবতী, রহস্য

আগরতলা, ১৮ অক্টোবর : শেল্টার হোম থেকে যুবতীর নিখোঁজের অভিযোগে রহস্য দানা বেঁধেছে। কারণ, যুবতীর মা অভিযোগ করেছেন, তাঁর মেয়েকে বিক্রি করে দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে, শেল্টার হোমার কর্তৃপক্ষের দাবি, ওই যুবতী স্বামীর কাছে ফিরে গেছে, সেটা যাওয়ার আগে লিখিতভাবে জানিয়েছে। ফলে, আদৌ ওই যুবতী বর্তমানে কোথায় রয়েছেন, তা নিয়ে ধোয়াশার সৃষ্টি হয়েছে। 

খবরে প্রকাশ, এসোসিয়েশন ফর সোসাল হেলথ ইন ইন্ডিয়ার দ্বারা পরিচালিত আগরতলায় ইন্দ্রনগরের জগৎপুর কালিবাড়ী রোডস্থিত মঙ্গলালোক মাতৃসদন শেল্টার হোম থেকে এক যুবতী পালিয়ে গেছে। খবর পেয়ে ছুটে আসেন ওই যুবতীর অভিভাবক। তাঁরা হোমের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেন, তাঁদের মেয়েকে বিক্রি করে দেওয়া হয়েছে। এদিকে, শেল্টার হোমের দায়িত্বে থাকা সুপার জানান, ওই যুবতী চিঠি লিখে রেখে পালিয়ে গেছেন।

ঘটনার বিবরণে জানা গেছে, ওই যুবতী ১৮ বছর হওয়ার পূর্বে মা-বাবার নির্যাতনে অতিষ্ট হয়ে পালিয়ে বিয়ে করেছিলেন। নাবালিকা অবস্থায় বিয়ের কারণে তাঁকে হোমে আশ্রয় দেওয়া হয়েছিল। মঙ্গলালোক শেল্টার হোমের সুপার ওই যুবতীর মা-বাবার অভিযোগ অস্বীকার করে জানিয়েছেন, স্বেচ্ছায় স্বামীর বাড়িতে চলে যাচ্ছে, চিঠিতে এমনটাই লিখে রেখে গেছেন। তাঁর এখন ১৮ বছর পূর্ণ হয়েছে, তাই তাঁকে হোমে আশ্রয় দেওয়ার বিষয়ে ভাবা হচ্ছে না। হোমের সুপার দাবি করেন, যুবতী আমবাসায় স্বামীর বাড়িতে চলে গেছেন এবং বিষয়টি তাঁর বাবা-মাও জানেন। 

এদিকে, ওই যুবতীর মা সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে বলেন, বাড়ি থেকে পালিয়ে বিয়ে করে শ্বশুর বাড়ি যাওয়ার পর প্রথমে তাকে অমাবাসায় হোমে এবং পরবর্তীতে আগরতলা নিয়ে আসা হয়েছিল। কিন্তু, পুণরায় তাঁদের মেয়ে শ্বশুর বাড়ি কবে ফিরে গেছেন সে-বিষয়ে কিছুই জানানো হয়নি। শুধু, গতকাল হোমের সুপার মেয়ের পালিয়ে যাওয়ার বিষয়টি জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ইতিপূর্বে বহুবার মেয়ে-কে বাড়ি নেওয়ার চেষ্টা হয়েছে। কিন্তু, নাবালিকা হওয়ার কারণ দেখিয়ে হোম কর্তৃপক্ষ তাঁকে বাড়ি যেতে দেননি। 

তাঁর দাবি, মেয়ে-কে বাড়ি নেওয়ার জন্য পশ্চিম ত্রিপুরা জেলা শাসক এবং পুলিশের সাথে যোগাযোগ করা হলে শেল্টার হোম কর্তৃপক্ষ বিরক্তি প্রকাশ করেছিলেন। তিনি দাবি করেন, হোম কর্তৃপক্ষ তাঁদের মেয়ে-কে বিক্রি করে দিয়েছেন। ওই যুবতীর মায়ের অভিযোগ হোম কর্তৃপক্ষ পত্রপাঠ খারিজ করেছেন। তবে, ওই যুবতী বর্তমানে কোথায় রয়েছেন সেই সন্ধান তাঁরা দিতে পারেননি। ফলে, বিষয়টি খুবই রহস্যজনক বলেই মনে করা হচ্ছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *