নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ১৫ অক্টোবর: কোজাগরি লক্ষী পূজার বাজারে জিনিসপত্রের অগ্নি মূল্য। রাজধানী আগরতলা শহর রাজ্যের সর্বত্রই একই চিত্রপট পরিলক্ষিত হচ্ছে। রাত পোহালেই কোজাগরি লক্ষী পূজা । ফলমূল থেকে শুরু করে সবজি বাজারে আগুন। নাজেহাল ক্রেতাসাধারণ । একশো এর নিচে কোন ফল নেই। যেইটা ধরবেন একশত টাকার উর্ধ্বে। সবজি বলে তো লাভ নেই। কুমড়ো কেজি একশো চল্লিশ, ঝিঙ্গা, থেকে শুরু করে সব কিছু সবজির মুল্যের বাড় বাড়ন্ত। মাথায় হাত ক্রেতাদের। তারপরেও সাধ্য অনুযায়ী কোজাগরি লক্ষী মায়ের আরাধনা মেতে উঠবে সবাই।
পঞ্জিকা মতে বুধবার ও বৃহস্পতিবার দুই দিন পূর্ণিমা। এই দুই দিন কোজাগরি লক্ষী পূজা করতে পারবে ব্রতীরা। পূজার বাজারে ভিড়। এমনই দৃশ্য লক্ষ্য করা গেছে বিলোনিয়া এক নং টিলা বাজারে। লক্ষী মূর্তি থেকে শুরু করে ঘট, নারকেল, হলুদ, ধানের শিষ সব কিছু বাজারে উঠলেও হাত দিতে গিয়ে নাজেহাল। মায়ের মূর্তি তিনশো থেকে শুরু করে হাজার টাকা দামে বিক্রি হচ্ছে। বাজারে ক্রেতা বিক্রেতাদের কাছ থেকে মিশ্র প্রতিক্রিয়া শোনা যায়। কেউ কেউ বলছে বাজারে সব কিছু চাহিদা আছে কিন্তু বিক্রি হচ্ছে কম। আগের তুলনায় এবার একটু বাজার মন্দা।
আবার কেউ বলছে মোটামুটি ভালো বিক্রি হচ্ছে। ক্রেতারা বলছে গতবারের তুলনায় এবছর জিনিস পত্রের দাম আকাশছোঁয়া। এবছর একটু বাজেট কমিয়ে সাধ্যমতো কোজাগরি লক্ষী পূজা করতে হচ্ছে আমাদের । অপরদিকে বিলোনিয়া বরিষ্ট বয়োজ্যেষ্ঠ মৃৎশিল্প গৌরা পাল জানান, মূর্তির চাহিদা আছে । কিন্তু মূর্তি তৈরি করতে মাটির দাম বেশি, কর্মচারীর বেতন বেশি। কিন্তু মূর্তির দাম তেমন ভাবে বাড়েনি। সবকিছু মিলিয়ে অগ্নিমূল্য বাজারে যথাসাধ্য উপকরণ সাজিয়ে দিয়ে উলুধ্বনি, শঙ্খধ্বনির মধ্য দিয়ে পূজিত হবেন ধন দেবী লক্ষ্মী।