BRAKING NEWS

এমবিবি স্টেডিয়ামের বদান্যতায় ওড়িশা ত্রিপুরার ৪ দিনের রঞ্জি ম্যাচে একটি বলও পড়েনি

ক্রীড়া প্রতিনিধি, আগরতলা।। ভেস্তে গেলো ত্রিপুরা ওড়িশার রঞ্জি ম্যাচ। চার দিনের খেলা। মাঠে একটি বলও গড়ায় নি। কোনও ব্যাটার্সকেও ব্যাট হাতে নামতে হয়নি। আরেকটু পরিষ্কার করে বলা যায়, টস-ই হয়নি। অপরাধ, ম্যাচ চলাকালীন নয়, প্রথম দিনের খেলা শুরুর ৬ ঘন্টা আগে আধ ঘন্টার জন্য এবং দ্বিতীয় দিনের খেলা শুরুর এক ঘন্টা আগে ২০ মিনিটের জন্য কয়েক মিলিমিটার বৃষ্টি। তাও উইকেট ছিল নিখুঁত। কলকাতা থেকে প্রথম দিন পিচ কিউরেটর সুজন ব্যানার্জি কয়েক ঘন্টার জন্য আগরতলায় এসে এমবিবি স্টেডিয়ামের পিচ যথার্থতার সার্টিফিকেট দিয়ে গেলেও মূলত আউটফিল্ডে জল লেগে থাকার কারণে পুরো চার দিনের খেলা আম্পায়ার ম্যাচ রেফারি মিলে টস করার মত পরিস্থিতি নেই বলে সবুজ সংকেত দিতে পারেননি। সারাদেশে বিভিন্ন ভেন্যুতে রঞ্জি ট্রফির ম্যাচ শুরু হলেও এমবিবি স্টেডিয়াম গ্রাউন্ডে ত্রিপুরা ওড়িশার না হওয়া ম্যাচটি ইতিহাস হয়ে রইলো। মাঠের দায়িত্বে থাকা গ্রাউন্ড স্টাফদের সক্রিয়তা দেখে মনে হয়েছে, চেষ্টার কোনও ত্রুটি রাখা হয়নি। এরপরও ম্যাচ হওয়ার মতো পরিস্থিতি তৈরি না হওয়ায় বিশেষ করে দুই দলই প্রথম ম্যাচে পয়েন্ট ভাগাভাগি করে নিলে নিজ নিজ শিবিরে  হতাশা বিরাজ করছে।‌ মোটকথা, বৃষ্টি না হয়েও ত্রিপুরা দলের প্রথম চার দিনের রঞ্জি ম্যাচে  একদিনেও বল গড়ায়নি মাঠে। গত ১১ অক্টোবর, শুক্রবার থেকে আগরতলার এমবিবি স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল ত্রিপুরা বনাম ওড়িশার মধ্যে প্রথম রঞ্জি ট্রফি ম্যাচ। কিন্তু মাঠ খেলার অনুপযুক্ত থাকায় ম্যাচ পরিত্যক্ত ঘোষণা করে ম্যাচ রেফারি সহ আম্পায়ার। ফলে সারা ভারতবর্ষের কাছে কালিমালিপ্ত হলো ত্রিপুরা ক্রিকেট। খেলা না হওয়া নিয়ে ত্রিপুরা দলের ম্যানেজার রঞ্জন দত্ত কি বললেন ! সম্ভবত এই প্রথম ত্রিপুরার এমবিবি স্টেডিয়াম চার দিনের রঞ্জি ট্রফি ম্যাচে একটিও বল পড়েনি মাঠে।

তবে কি কারণে, কেন ম্যাচ রেফারি এই সিদ্ধান্ত নিলেন তা এখনো পুরো বিষয় বুঝা যায়নি। এদিকে, এই গ্রুপের অন্য খেলায় বরোদা ৮৪ রানের ব্যবধানে মুম্বাইকে, সার্ভিসেস এক ইনিংস ও ৬৫ রানের ব্যবধানে মেঘালয় কে পরাজিত করেছে। জম্মু-কাশ্মীর ও মহারাষ্ট্রের ম্যাচটি ড্র-তে শেষ হলেও প্রথম ইনিংসে লিড পেয়েছে জম্মু-কাশ্মীর।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *