নিজস্ব প্রতিনিধি, ২ অক্টোবর, আগরতলাঃ আগস্ট মাসের ভয়াবহ বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ মানুষ এখনো বিপর্যয় কাটিয়ে উঠতে পারেননি। বন্যার করাল গ্রাসে সব হারানো মানুষের দু’বেলা দু’মুঠো খাবার জোগাড় করাই দুঃসাধ্য হয়ে দাঁড়িয়েছে। এদিকে বাঙালির সর্ববৃহৎ উৎসব দুর্গাপুজোও দোরগোড়ায়।
বন্যা-বিধ্বস্ত এলাকার শিশু-কিশোরদের মুখের দিকে তাকিয়ে শুধু দীর্ঘশ্বাস ফেলা ছাড়া গত্যন্তর নেই তাদের বাবা-মায়েদের। এই অবস্থায় এদের ক্ষুদ্র একটা অংশের শিশুদের পাশে দাঁড়ালো রাজ্যের অগ্রণী প্রকাশনা সংস্থা নীহারিকা।
বুধবার উদয়পুরের পিত্রায় সাতটি অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের ২০০ জন শিশু-কিশোরের হাতে পুজোর নতুন জামা, মিষ্টি এবং ফলের জুস তুলে দিলো তারা। নীহারিকার লেখক, পাঠক ও শুভানুধ্যায়ীদের আর্থিক আনুকূল্যে এই বস্ত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের এডভোকেট জেনারেল সিদ্ধার্থশঙ্কর দে, বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ উমাশঙ্কর রায়,ডাঃ কনকনারায়ণ ভট্টাচার্য, ডাঃ গোপা চট্টোপাধ্যায়, শিক্ষক সংহিতা সিনহা, শর্মিতা সিনহা, কবি সৌরভ গোস্বামী, অমর দেব, সমাজকর্মী অয়ন সাহা, সোমনাথ লস্কর, অরিন্দম চক্রবর্তী, প্রণবেন্দু সূত্রধর, যাদব সূত্রধর, এবং ডাঃ অর্ণব কর্মকার।
উদয়পুরের সিগমা সামাজিক সংস্থার সহযোগিতায় এদিনের বস্ত্র বিতরণ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়। এর আগে বন্যা শুরুর পর থেকেই দুর্গত মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছিল নীহারিকা।বিভিন্ন ত্রাণ শিবিরে বিশুদ্ধ জল, খাবার বিতরণের পর স্বাস্থ্যশিবির আয়োজন এবং শিক্ষার্থীদের মাঝে বই, খাতা, কলম, জ্যামিতি বাক্সসহ বিভিন্ন শিক্ষাসামগ্রী, স্যানিটারি প্যাড তারা বিররণ করেছিল। এই প্রসঙ্গে নীহারিকার পক্ষ থেকে জানানো হয়, তাদের এই উদ্যোগগুলো প্রতীকিমাত্র।
কারণ, রাজ্যের ইতিহাসের সবচেয়ে ভয়াবহ বন্যায় যে পরিমাণ মানুষ ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে সেই তুলনায় নীহারিকার উদ্যোগ একেবারেই সামান্য। তবে আশার কথা এটাই রাজ্য সরকারের পাশাপাশি এবার প্রচুর মানুষ ব্যক্তিগতভাবে এবং সাংগঠনিকভাবে দুর্গত মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে। এটা খুবই আশার কথা।