BRAKING NEWS

অমৃত ভারত স্টেশন : কালিয়াগঞ্জ রেলওয়ে স্টেশনের পুনর্বিকাশের কাজে অগ্রগতি

গুয়াহাটি, ২৮ সেপ্টেম্বর (হি.স.) : অমৃত ভারত স্টেশন স্কিম (এবিএসএস)-এর অধীনে উত্তরপূর্ব সীমান্ত রেলওয়ে অধিক্ষেত্রে ৯২টি স্টেশনকে বিশ্বমানের সুযোগ-সুবিধা সহ পুনর্বিকশিত করা হচ্ছে। এই জোনের মধ্যে রেলস্টেশনে সুযোগ-সুবিধা আরও বৃদ্ধি করার লক্ষ্যে রেলওয়ে পরিকাঠামো প্রকল্পের জন্য ২০২৪-২৫ অন্তর্বর্তী বাজেটে ১০,৩৬৯ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। উত্তরপূর্ব সীমান্ত রেলওয়ের কাটিহার ডিভিশনের অন্তর্গত উত্তরবঙ্গের কালিয়াগঞ্জ রেলওয়ে স্টেশনটি তালিকাভুক্ত স্টেশনগুলির মধ্যে অন্যতম একটি গুরুত্বপূর্ণ স্টেশন। কালিয়াগঞ্জ স্টেশনে এই প্রকল্পের অধীনে প্ৰায় ২৪.৮৭ কোটি টাকা ব্যয়ে উল্লেখযোগ্য উন্নয়নের কাজ চলছে।

আজ শনিবার উত্তরপূর্ব সীমান্ত রেলওয়ের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক কপিঞ্জল কিশোর শর্মা এক প্রেস বার্তায় এ খবর দিয়ে জানান, পশ্চিমবঙ্গের উত্তর দিনাজপুর জেলার এক বৃহৎ অঞ্চলে পরিষেবা দিয়ে আসছে কালিয়াগঞ্জ রেলওয়ে স্টেশন। এই স্টেশনটির প্রস্তাবিত পুনর্বিকাশের বিভিন্ন চলমান কাজের প্রায় ৬২ শতাংশ সামগ্রিক অগ্রগতি দেখা গেছে। সম্প্রতি কালিয়াগঞ্জ রেলওয়ে স্টেশনে একটি ১২ মিটার প্রশস্ত ফুট-ওভার ব্রিজ (এফওবি) সম্পূর্ণ করার মাধ্যমে এক উল্লেখযোগ্য মাইলস্টোন অর্জন করা গেছে। এই আধুনিক এফওবি সুরক্ষার পাশাপাশি যাত্রীদের চলাচলের সুবিধা বৃদ্ধি করবে, ভবিষ্যতে পরিকাঠামো সম্প্রসারণের জন্য এর্গোনমিক ডিজাইনের সাথে শক্তিশালী পরিকাঠামোর বৈশিষ্ট্য প্রদান করবে। পাশাপাশি, স্টেশনটির পুনর্বিকাশের জন্য প্যাসেঞ্জার প্ল্যাটফর্ম শেড, প্ল্যাটফর্ম সারফেসিং এবং স্থানীয় শিল্প ও সাংস্কৃতিক ভাস্কর্য প্রদর্শনের মাধ্যমে স্টেশনের সম্মুখ অংশের কাজ সহ সম্পর্কযুক্ত অতিরিক্ত উন্নয়নমূলক কাজগুলি চলছে। আপগ্রেডেড স্টেশনে উন্নত বিল্ডিং স্ট্রাকচার, যাত্রীদের জন্য আরামদায়ক বসার ব্যবস্থার সাথে উন্নত সার্কুলেটিং এরিয়া, স্টেশন চত্বরের মধ্যে সুগম চলাচলের সুবিধার জন্য আধুনিক লিফ্ট ও এসকেলেটরের ব্যবস্থা থাকবে। নতুন স্টেশনটিতে দ্বিতীয় প্রবেশ ব্যবস্থাও থাকবে, যার নির্মাণের কাজ চলছে।

এ সমস্ত অর্জন গুণগত মান ও দক্ষতার সাথে যাত্রীদের ভ্রমণ অভিজ্ঞতা উন্নত করার ক্ষেত্রে উত্তরপূর্ব সীমান্ত রেলওয়ের প্রতিশ্রুতিকে আরও বেশি প্রতিফলিত করে, যা এই পুনর্বিকশিত স্টেশনগুলির মাধ্যমে দেখা যাবে। এফওবি-র পাশাপাশি এই স্টেশনটিতে দিব্যাঙ্গ যাত্রী সহ অন্যান্য অতিরিক্ত যাত্রী সুযোগ-সুবিধাগুলি এবং এ ধরনের পরিকাঠামোর ব্যবস্থা থাকবে যা স্টেশন চত্বরের সমগ্র সম্মুখ অংশকে আধুনিক রূপ প্রদান করবে। স্টেশন চত্বরটি সম্পূর্ণ নিরাপদ ও প্রত্যেক শ্রেণির যাত্রীর জন্য সহজে প্রবেশযোগ্য করে তুলতে চিহ্নযুক্ত সঠিক আলোর ব্যবস্থা করা হবে।

এই স্টেশনের উন্নয়নের ফলে নতুন কর্মসংস্থানের পাশাপাশি ব্যবসায়িক সুযোগ-সুবিধার সৃষ্টি হবে এবং যাত্রীদের ভ্রমণ সহজ করে তুলবে। এই উন্নত স্টেশনটি সংশ্লিষ্ট অঞ্চলের আর্থ-সামাজিক কার্যকলাপের কেন্দ্রস্থল হিসেবে ভূমিকা পালন করবে, এর ফলে যোগাযোগ ও আর্থিক উভয়ক্ষেত্রেই বিকাশ ঘটবে বলে প্ৰেস বাৰ্তায় দাবি করেছেন উত্তরপূর্ব সীমান্ত রেলওয়ের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক কপিঞ্জল কিশোর শর্মা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *